মোবাইল ব্যাংকিং: দিনে লেনদেন ৩ হাজার কোটি

ফানাম নিউজ
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৯:৫৯

দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) কার্যক্রম ও লেনদেনের পরিমাণ ক্রমবর্ধমান হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিকাশ, রকেট, নগদসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গড়ে প্রতিদিন ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা ৮৯ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা লেনদেন করেছেন। তবে এখানে নগদের তথ্য যোগ করা হয়নি। এই ক্যাশ অ্যাকাউন্ট যোগ করলে লেনদেনের পরিমাণ আরো ২২ হাজার কোটি টাকা বৃদ্ধি পাবে। সেই হিসাবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন দাঁড়াবে প্রায় ১ দশমিক ১১ লাখ কোটি টাকা। এতে দৈনিক লেনদেন দাঁড়ায় ৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

এ খাত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সব জায়গায় টাকা পাঠানোর সুবিধার সঙ্গে কেনাকাটা, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, বিভিন্ন বিল পরিশোধ, ঋণ বিতরণসহ নতুন নতুন সেবা যুক্ত করা হচ্ছে। ফলে বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) ওপর মানুষের আগ্রহের পাশাপাশি নির্ভরতা ও লেনদেনের পরিমাণ বাড়ছে। মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় এখন ১৮ কোটিরও বেশি গ্রাহক/হিসাব রয়েছে।

গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় সম্প্রতি মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা প্রতিদিন এজেন্টদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা কার্ড থেকে ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে পারবেন। আগে দৈনিক ৩০ হাজার টাকার বেশি জমা দেওয়া যেত না। এখন একজন গ্রাহক অন্য গ্রাহককে মাসে দুই লাখ টাকা পাঠাতে পারবেন। আগে এই সীমা ছিল ৭৫ হাজার টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, সুবিধাজনক লেনদেনের সুযোগ বিবেচনা করে এবং ক্যাশলেস সমাজকে উৎসাহিত করার জন্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ধীরে ধীরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন সহজ করছে। শহুরে জীবনে মানুষের বিশেষ প্রয়োজনে ই-কমার্স, অনলাইন ট্রেডিং এবং পেমেন্ট সিস্টেম বাড়ছে। তাই বাংলাদেশ ব্যাংক লেনদেনের সীমা বাড়িয়েছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে বিকাশ, রকেট, ইউক্যাশ, মাইক্যাশ, শিওরক্যাশ-সহ বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে ১৩টি ব্যাংক। ২০২২ সালের জুলাইয়ের শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত গ্রাহকের সংখ্যা ১৮ দশমিক ১১ কোটি।