যে ৫ ধরনের পোশাক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক!

ফানাম নিউজ
  ১৪ আগস্ট ২০২২, ১১:১৪

বিশ্ববাসী এখন পাশ্চাত্যের ফ্যাশনে বুঁদ হয়ে আছে। ঝলমলে সব চটকদার পোশাক এখন সবারই নজর কাড়ে। বাহারি ডিজাইনের রংবেরঙের পোশাক এখন গায়ে জড়ান সব নারী-পুরুষই।

আমরা সবাই ভালো, চটকদার ও দৃষ্টিনন্দন পোশাকেই নিজেদেরকে আবৃত করতে পছন্দ করি। বর্তমানে ফ্যাশন ও সৌন্দর্য প্রবণতা ধরে রাখতে গিয়ে অনেকে নিজ স্বাস্থ্যেরও মারাত্মক ক্ষতি করছেন অজান্তেই।

তেমনই ৫ ধরনের জনপ্রিয় পোশাক সম্পর্কে জেনে নিন, যা হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক-

টাইট পোশাক

বেশিরভাগ নারী-পুরুষই ক্লোজ ফিটিং বা বডি-হাগিং ঘরানার টাইট পোশাক পরতে পছন্দ করেন। যদি আপনার পোশাক, প্যান্ট, শার্ট, এমনকি অন্তর্বাসও অস্বস্তির কারণ হয় তাহলে এসব পোশাক সম্পর্কে সচেতন হওয়া উচিত।

আঁটসাঁট পোশাক মেরালজিয়া প্যারেস্থেটিকা নামক এক রোগের কারণ হতে পারে। এর ফলে স্নায়ু ব্লক হয়ে যায় ও উরুর পাশে অস্বস্তি, জ্বালাপোড়া ও অসাড়তা দেখা দেয়।

হলুদ পোশাক

বিগত কয়েক বছরে ফ্যাশনে হলুদ রং সুপার ট্রেন্ডি হয়ে উঠেছে। এছাড়া এই রং এটি সুখ, উষ্ণতা ও সূর্যের আলোরও প্রতীক। তবে দুর্ভাগ্যবশত পোশাকের হলুদ রঞ্জকে নিষিদ্ধ রাসায়নিক থাকতে পারে। যার নাম পিসিবি১১। এটি হলো পলিক্লোরিনেটেড বাইফেনাইল এর একটি রূপ।

যা ত্বকের জ্বালা, গুরুতর ব্রণ, লিভার ক্যানসার, গল ব্লাডার ক্যানসার, পিত্তথলির ক্যানসার, গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্ট ক্যানসার এমনকি মস্তিষ্কের ক্যানসারেরও কারণ হতে পারে। রঞ্জক ও স্তন ক্যানসারের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যোগসূত্র আছে বলে জানা যায় বিভিন্ন গবেষণায়।

টাইট জিন্স

টাইট জিন্স পরলে দেখতে আকর্ষণীয় লাগলেও তা হতে পারে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। বিশেষ করে নারীদের স্বাস্থ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলে টাইট জিন্স।

২০১৯ সালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, যেসব নারীরা নিয়মিত বা প্রাই টাইট জিন্স পরেন তাদের ভালভোডাইনিয়া হওয়ার ঝুঁকি বেশি। এর ফলে বাহ্যিক যৌনাঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা হয়।

ইস্ত্রি করা পোশাক

ইস্ত্রি বা ড্রায়ার ব্যবহারের মাধ্যমে কুচকানো পোশকা সোজা করা হয়। ঘরের বাইরে যাওয়ার সময় অনেকেই ইস্ত্রি করা পরিপাটি পোশাক পরে বের হন।

আপনাকে দেখতে সুন্দর ও হ্যান্ডসাম লাগলেও কিন্তু ইস্ত্রি করা ওই পোশাক হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।

গবেষণায় দেখা যায়, এ ধরনের পোশাকে ফর্মালডিহাইড বা উচ্চ মাত্রার রাসায়নিকের ট্রেস পাওয়া যায়। এর কারণে অ্যালার্জিযুক্ত লোকেদের ডার্মাটাইটিস হতে পারে। যা ফুসকুড়ি, ফোসকা ও ফ্ল্যাকি ও চুলকানি হতে পারে।

মোজা ছাড়া জুতা পরা

অনেকেরই মোজা ছাড়া জুতা পরার অভ্যাস আছে। তবে জানেন কি, সরাসরি পা ও জুতার মধ্যকার একটি স্তর হিসেবে কাজ করে মোজা। এটি ঘাম শোষণ করে ও পা শুষ্ক রাখে।

যারা জুতার সঙ্গে মোজা পরেন না তাদের মধ্যে ‘অ্যাথলিট’স পা’ হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পা ঘামার ফলে জুতার সঙ্গে ঘর্ষণের কারণে ব্যাকটেরিয়াজনিত এই ত্বকের প্রদাহ হয়।

সূত্র: ব্রাইট সাইড

লাইফ স্টাইল এর পাঠক প্রিয়