মাত্র ৭৩ রানে অলআউট, পরাজয়ের লজ্জার রেকর্ড শ্রীলঙ্কার

ফানাম নিউজ
  ১৬ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:৩৪

৩৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৭৩ রানেই অলআউট হয়ে গেলো শ্রীলঙ্কা। বিশাল রানের নিচে চাপা পড়ে সেটা তাড়া করতে নামার আগেই হেরে বসেছিলো লঙ্কানরা। যার প্রমাণ দেখা গেলো তাদের ব্যাট করতে নামার পর। মাত্র ২২ ওভার ব্যাটিং করে পুরো দল মিলে তিন অংকের ঘরই স্পর্শ করতে পারেনি।

যার ফলে ৩১৭ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজয় বরণ করলো লঙ্কানরা। সে সঙ্গে গড়লো এক লজ্জার রেকর্ডও। একদিনের ক্রিকেটে রানের হিসেবে সর্বোচ্চ ব্যবধানে পরাজয় ঘটলো তাদের।

কৃতিত্বটা অবশ্যই ভারতের। রোববার তিরুভানান্তপুরমে শ্রীলংকাকে তৃতীয় ও শেষ একদিনের ম্যাচে হারিয়ে হোয়াইটওয়াশও করলো ভারতীয়রা। ওয়ানডে ক্রিকেটে এত রানে এর আগে কখনো কোনও দল জিততে পারেনি। ভারত ভেঙে দিল নিউজিল্যান্ডের রেকর্ড। ১৪ বছরেরও বেশি সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড গড়েছিলো কিউইরা।

এর আগে ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডে ২৯০ রানে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ডকে। যেটা ছিল ওয়ানডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে জেমস মার্শাল এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শতরানের ওপর ভর করে ৪০২ রান তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে ১১২ রানে আউট হয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।

এরপর প্রথম পাঁচে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া এবং দু’বার দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়া ২০১৫ সালে আফগানিস্তানকে হারায় ২৭৫ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা জিম্বাবোয়ে এবং শ্রীলঙ্কাকে যথাক্রমে ২৭২ এবং ২৫৮ রানে হারায়।

ওয়ানডেতে ভারতের সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড ছিল ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে। সেবার ম্যাচে বারমুডাকে তারা হারিয়েছিল ২৫৭ রানের ব্যবধানে। বিরেন্দর শেবাগের শতরানের সুবাধে প্রথমে ব্যাট করে ৪১৩ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে বারমুডা শেষ হয়ে যায় ১৫৬ রানে।

রোববার তিরুভানান্তপুরমে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুভমান গিল (১১৬) এবং বিরাট কোহলির দুর্দান্ত সেঞ্চুরির (১৬৬*) ওপর ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ভারত ৩৯০ রান তোলে। জবাবে প্রথম থেকেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে শুরু করে শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং।

মোহাম্মদ সিরাজের আগুনে বোলিংয়ের সামনে ৭৩ রানে শেষ হয়ে যায় তারা। সিরাজ নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি এবং কুলদিপ যাদব। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন নুয়ানিদু ফার্নান্দো, ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন কাসুন রাজিথা এবং ১১ রান করেন দাসুন শানাকা। আশেন বান্দারা ব্যাটই করতে পারেননি।