নিজের উদ্ভাবিত চিকিৎসায় ক্যানসার থেকে বেঁচে ফিরলেন চিকিৎসক

ফানাম নিউজ
  ১৫ মে ২০২৪, ০৩:০৭

নিজের উদ্ভাবিত নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্যানসারমুক্ত হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক চিকিৎসক। তিনি মস্তিষ্কের জটিল ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন, যাতে রোগীরা এক বছরের কম সময়ের মধ্যে মারা যান। তবে নিজের উদ্ভাবিত নতুন চিকিৎসাপদ্ধতি ব্যবহার করে ওই চিকিৎসক এক বছরের বেশি সময় ধরে ক্যানসারমুক্ত আছেন।

রিচার্ড স্কোলিয়ার নামের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, চিকিৎসার এক বছর পরও মরণঘাতী রোগটি নতুন করে তার শরীর আক্রান্ত করতে পারেনি। খবর বিবিসির।

অধ্যাপক স্কোলিয়ার গ্লায়োব্লাস্টোমার নামে ক্যানসারের একটি জটিল ধরনে আক্রান্ত হয়েছিলেন যা খুব মারাত্মক। পরে তার নিজেরই গবেষণার ভিত্তিতে উদ্ভাবন করা একটি পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে তার শরীরে প্রয়োগ করা হয়।

গত বছর পোল্যান্ডে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রিচার্ড স্কোলায়ার। এরপর জানা যায় তিনি গ্রেড-৪ ক্যানসারে আক্রান্ত। এই ক্যানসারটি গ্লিওব্লাসতোমা নামে পরিচিত। এটি এতটাই মারাত্মক, যে ব্যক্তি এই ক্যানসারে আক্রান্ত হন তিনি খুব বেশি হলে এক বছর বা ১২ মাস বাঁচতে পারেন।

৫৭ বছর বয়সী এই চিকিৎসক মেলানোমা নিয়ে গবেষণা করেন। এটি এমন ক্যানসার যেটি শরীরের চামড়ার মাধ্যমে শুরু হয়। এ নিয়ে গবেষণা করে ক্যানসার চিকিৎসার একটি নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি।

গতকাল সোমবার (১৩ মে) রিচার্ড স্কোলায়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি জানান, সর্বশেষ এমআরআইয়ে দেখা গেছে, ক্যানসার তার ব্রেনে ফিরে আসেনি। তিনি বলেছেন, ‘আমি খুবই খুশি।’

প্রফেসর স্কোলায়ার এ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করেছেন তার সহকর্মী প্রফেসর জর্জিনা লংয়ের সঙ্গে। তারা দুজনই অস্ট্রেলিয়ার মেলানোমা ইনস্টিটিউটের সহপরিচালক হিসেব কাজ করছেন। তারা ইমিউনথেরাপির ওপর ভিত্তি করে উদ্ধাবিত পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন। এরমাধ্যমে শরীরের ইমিউনকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) ক্যানসারের কোষকে হামলা করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়।

মেলানোমার ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে অস্ত্রোপচারের আগে ক্যানসারের কোষে বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করলে ইমিউনথেরাপি ভালো কাজ করে। প্রফেসর স্কোলায়ার বিশ্বের একমাত্র ব্রেন ক্যানসার আক্রান্ত হিসেবে অস্ত্রোপচারের আগে ইমিউনথেরাপির চিকিৎসা নিয়েছেন।

বিশ্বব্যাপী প্রায় তিন লাখ মানুষ গ্লিওব্লাসতোমাতে আক্রান্ত বলে ধারণা করা হয়। প্রফেসর স্কোলায়ারের এই পদ্ধতির মাধ্যমে তার আয়ু বাড়বে সঙ্গে চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।