সুখী জীবনের জন্য বাড়িয়ে নিন দেহে হরমোন নিঃসরণ

ফানাম নিউজ
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৩:০৭

মানব দেহের বিভিন্ন গ্রন্থিকেই মূলত হরমোন বলা হয়। এসব গ্রন্থি থেকে তৈরি হওয়া কিছু কেমিক্যাল বা রাসায়নিক উপাদান রক্তের মাধ্যমে শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের সবকিছুর সঙ্গেই হরমোনের সম্পর্ক রয়েছে। সুখী জীবনের সঙ্গেও রয়েছে হরমোনের সম্পর্ক। আমাদের মেজাজ, অনুভূতি, ভালো লাগা নিয়ন্ত্রণ করে চারটি হরমোন। এগুলোকে বলে হ্যাপি হরমোন। ডোপামিন, সেরোটোনিন, অক্সিটোসিন ও এন্ডোরফিন—এই চারটিকে বলা হয় হ্যাপি হরমোন। এই হরমোনগুলোর কারণেই আমরা খুশি হই, আনন্দে থাকি। আমাদের মন ভালো থাকে।

ওয়েল প্লাস গুড হ্যাপি হরমোন নিয়ে সম্প্রতি হেলথ জার্নাল প্রকাশ করেছে একটি বিশেষ প্রতিবেদন। কী করলে এই হরমোনগুলোর নিঃসরণ বেড়ে যাবে, সেই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেওয়া যাক।

ডোপামিন : আমাদের সব সুখানুভূতির সঙ্গে ডোপামিন হরমোন জড়িত। আমাদের রক্তপ্রবাহে ডোপামিনের নিঃসরণ হলে, তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের মেজাজ ভালো হয়ে যায়। আমরা সুখী বোধ করি। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রেমে পড়লে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি থেকে সরাসরি ডোপামিন নিঃসৃত হয়। এ ছাড়া ভালো খাবার খেলে, লক্ষ্য অর্জন করলে, কোনো কাজ সম্পূর্ণ করলে, নিজের যত্ন নিলে বা সপ্তাহে দুই দিন চকলেট খেলেও ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ে।

অক্সিটোসিন : প্রেমানুভূতির সঙ্গে অক্সিটোসিনের সম্পর্ক থাকায় এর অন্য নাম ‘লাভ হরমোন’। সন্তান প্রসবের পর মা–বাবা ও সন্তানের বন্ধন তৈরিতে প্রত্যক্ষভাবে ভূমিকা পালন করে এই হরমোন। এ ছাড়া এই হরমোন চুমু আর আলিঙ্গন, অর্থাৎ শারীরিক সম্পর্কের সময়ও সক্রিয় হয়। আপনি একটা সম্পর্কে ভরসা করবেন কি করবেন না, তা অনেকটাই এই হরমোন নির্ধারণ করে দেয়।

সেরোটোনিন : সুখানুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত আরেকটি হরমোন হলো সেরোটোনিন। মেজাজ নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও ঘুম, হজমক্ষমতা, শিক্ষা, ক্ষুধা, এমনকি শরীরের মেটাবলিজম সিস্টেম সচল রাখতেও সহায়তা করে সেরোটোনিন। সূর্যের আলোয় বা রোদে থাকলে, প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকলে, যোগব্যায়াম করলে এই হরমোনের নিঃসরণ বৃদ্ধি পায়।

অ্যান্ডোরফিন : অ্যান্ডোরফিন হরমোন প্রকৃতিকভাবে শারীরিক ও মানসিক ব্যথা উপশম করে। যখন আমরা শারীরিক বা মানসিকভাবে আহত হই, অ্যান্ডোরফিন সক্রিয় হয়। হাসলেই অ্যান্ডোরফিন নিঃসৃত হয়। হাসলে আয়ু বাড়ে, হার্ট ভালো থাকে, ওজন কমে, শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, হজমক্ষমতা বাড়ে। আর এসবের সঙ্গে ভালো থাকে আমাদের মন। তাই মন খুলে হাসুন। গান শুনলে, সিনেমা দেখলে, ব্যায়াম করলে, হাঁটলেও অ্যান্ডোরফিন হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে।

লাইফ স্টাইল এর পাঠক প্রিয়