প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্সে মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে

ফানাম নিউজ
  ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ০৬:৩৬

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত জিরো টলারেন্স, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কঠোর নজরদারি ও মাদকবিরোধী প্রচার-প্রচারণার কারণে মাদকাসক্তি বৃদ্ধি না পেয়ে মাদক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকার দলীয় এমপি নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।

নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন তার প্রশ্নে ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ইয়াবার চাহিদা প্রায় ১৯ লাখ, বিষয়টি সত্য কি না এবং মাদক নির্মূলে সরকারের উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চান।

জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ঢাকা মহানগরীতে প্রতিদিন ইয়াবার চাহিদা ১৯ লাখের বেশি, এটি সত্য নয়। এটি একটি স্বার্থান্বেষী মহলের অপপ্রচার। দেশে মাদকের অবাধ প্রবেশের সুযোগ নেই। সীমান্তে বিজিবিসহ দেশের সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদক প্রবেশ রোধ করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। নিয়মিত অভিযান, মোবাইলকোর্ট আগের চেয়ে বৃদ্ধি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সব সংস্থা ২০২১ সালে ৯৩ হাজার ১৯০টি মামলা এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ৩২১টি মামলা দায়ের করেছে। এছাড়া ২০২১ সালে ১ লাখ ২২ হাজার ১৫২ জন এবং ২০২২ সালে ১ লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

২০২২ সালে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯টি ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসমূহের ব্যাপক কর্মতৎপরতার কারণে মাদক অপরাধীদের গ্রেফতার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে মাদকদ্রব্য জব্দও বৃদ্ধি পেয়েছে।

চট্টগ্রাম-১১ আসনের এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের দিকনির্দেশনায় রাজধানী ঢাকার মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ ছিনতাইকারী চক্রের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধ/নির্মূল করতে এবং ঢাকায় নিরাপদ পরিবেশন বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। এতে মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের পার্টির অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ডিএমপির পাঁচ বছরে দুইশ ৮৯ কোটি ৮৬ লাখ ৭১ হাজার পাঁচশ এক টাকা আদায়

জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজধানীর সড়কের শৃঙ্খলা আনয়নের লক্ষ্যে ঢাকা মহানগরীতে চলাচলরত বিভিন্ন প্রকারের যানবাহনের বিরুদ্ধে অমান্যের জন্য আইন অনুযায়ী প্রসিকিউশন দাখিল করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ গত পাঁচ বছরে দুইশ ৮৯ কোটি ৮৬ লাখ ৭১ হাজার পাঁচশ এক টাকা আদায় করে।

এর মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ ৮২ কোটি ৫৯ লাখ ৯৩ হাজার ৫০৫ টাকা এবং ২০২০ সালে সর্বনিম্ন ২৩ কোটি ১৭ লাখ ৪৪ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। ২০১৮ সালে ৭৮ কোটি ২২ লাখ ৯৫ হাজার ৮৩৫ টাকা, ২০২১ সালে ৫০ কোটি ৯৩ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৩ টাকা এবং ২০২২ সালে ৫৪ কোটি ৯৩ লাখ তিন হাজার ৭২১ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।