২০ অক্টোবর খুলতে পারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ফানাম নিউজ
  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:৩৯

সব শিক্ষার্থীকে এক ডোজ টিকা দেওয়া সাপেক্ষে আগামী ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় খোলার চিন্তাভাবনা করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেটের ৫৩৪তম (এক্সট্রা অর্ডিনারি) সভায় ক্যাম্পাস খোলা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিরীণ আখতারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম মনিরুল হাসান বলেন, এক ডোজ টিকা নেওয়া সাপেক্ষে আগামী ২০ অক্টোবর ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে সিন্ডিকেটে। তবে এটিকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলা যাবে না বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন সিন্ডিকেট সদস্য এ কে এম মঈনুল হক মিয়াজী। তিনি বলেন, সিন্ডিকেটে ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে কোনো অ্যাজেন্ডা ছিল না। তবে অক্টোবরের ২০ তারিখের দিকে ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে, কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে একাডেমিক কাউন্সিল থেকে অ্যাজেন্ডা হিসেবে সিন্ডিকেটে আসার পর।

আরেক সিন্ডিকেট সদস্য মো. নাসিম হাসান বলেন, ‘সভায় ক্যাম্পাস খোলার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। অ্যাজেন্ডাও ছিল না।’ 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউট মিলিয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ২৭ হাজারের মতো। কারা টিকা দিয়েছেন, কয় ডোজ দিয়েছেন, সে তথ্য এখন সংগ্রহ করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আইসিটি সেল সূত্র বলছে, ২৪ হাজার শিক্ষার্থী টিকার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিবন্ধন করেছেন। ইতিমধ্যে ১৩ হাজার ৫২০ শিক্ষার্থী টিকাসংক্রান্ত তথ্য দিয়েছেন।

তাঁদের মধ্যে দুই ডোজ নিয়েছেন ৪ হাজার ২৩১ জন। এক ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৩৭৯ জন। নিবন্ধন করে টিকার জন্য অপেক্ষা করছেন ৪ হাজার ৫২৯ জন। আর জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকা ও জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকায় নিবন্ধন করতে পারেননি ২ হাজার ৩৭৯ জন। বাকি শিক্ষার্থীরা এখনো টিকাসংক্রান্ত তথ্য দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য বেনু কুমার দের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন বিভাগ থেকে টিকাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ৪৮ হাজার ডোজ করোনার টিকা পেতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এসব টিকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাবে। যাঁরা টিকা পাননি, তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রেই এসব টিকা দেওয়া হবে।