লিবিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল ওয়াহেদ আব্দুল সামাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার।
স্থানীয় সময় রোববার (২৫ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে লিবিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের সার্বিক কল্যাণ, বিশেষ করে স্বেচ্ছায় দেশে ফিরে যেতে অভিবাসীদের পাসপোর্ট ও ট্রাভেল পারমিটে (আউটপাস) বহির্গমন ছাড়পত্র (খুরুজ) দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি লিবিয়ায় অনিয়মিতভাবে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে পাঠাতে নতুন পাসপোর্ট ও আউটপাস ইস্যুতে দূতাবাসের দ্রুত ও সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। পাশাপাশি তিনি এসব নাগরিকদের জন্য প্রয়োজনীয় খুরুজ প্রাপ্তিতে দূতাবাসের পক্ষ থেকে লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার বিষয়টি তুলে ধরেন। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, আইওএম ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে দেশে ফিরতে আগ্রহী অনিয়মিত অভিবাসীরা বর্তমানে খুরুজ প্রাপ্তিতে নানা জটিলতার সম্মুখীন হচ্ছেন। তিনি এসব প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুততর করার জন্য লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রদূত লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত পরিদর্শনের সুযোগ এবং তাদের দেশে প্রেরণের লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করেন। এ ছাড়া, তিনি বর্তমান প্রেক্ষাপটে আবু সেলিমসহ বৃহত্তর ত্রিপলিতে বসবাসরত বাংলাদেশিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়ের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
মহাপরিচালক জানান, স্বেচ্ছা প্রত্যাবর্তন কর্মসূচির আওতায় অভিবাসীদের প্রশাসনিক ও লজিস্টিক সমস্যা দূর করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। তিনি আইওএম, দূতাবাস এবং ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে নতুন পাসপোর্ট ও আউটপাস বহনকারী বাংলাদেশি অভিবাসীদের খুরুজ প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ ভবিষ্যতে যেকোনো জটিলতা নিরসনে পারস্পরিক সমন্বয় অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হন। একইসঙ্গে অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধে যৌথভাবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।