এগিয়ে গিয়েও ম্যানসিটিকে হারাতে পারলো না রিয়াল

ফানাম নিউজ
  ১০ মে ২০২৩, ০৫:১০

শুরুর চাপ ধরে রাখতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ম্যাচের অনেকটা নিয়ন্ত্রণ যেন করে রিয়াল মাদ্রিদই। তবে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফুটবলার ভিনিসিউস জুনিয়রের অসাধারণ নৈপুণ্যে এগিয়েও গিয়েও রিয়াল মাদ্রিদ হারাতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটিকে। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণের জমজমাট লড়াইয়ে সমান সমান থেকেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়।

কেভিন ডে ব্রুইনের দুর্দান্ত গোলে স্বস্তি নিয়ে ফিরলো ম্যানচেস্টার সিটির পেপ গুয়ার্দিওলার দল। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। দারুণ ছন্দে থেকে অপরাজিত সিটি এখানেও আক্রমণাত্মক শুরু করেছিল। অবশ্য প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণটা করে রিয়াল। তৃতীয় মিনিটে নিজেদের সীমানায় বেনজেমার দারুণ ব্যাকহিল পাস ধরে সাইডলাইন ধরে আক্রমণে ওঠেন ভিনিসিউস।

সমান গতিতে এগিয়ে যান বেনজেমা। তবে প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে গিয়ে সতীর্থের পাস নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি তিনি। আট মিনিটের সময় লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় সিটি। ডি-বক্সের বাইরে থেকে ডে ব্রুইনের জোরাল শট ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্তোয়া। ছয় মিনিট পর বক্সের বাইরে থেকে রদ্রির নিচু শটও ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক।

শুরু থেকে পোস্টে ব্যস্ত সময় কাটতে থাকে কোর্তোয়ার। পরপর দুই মিনিটে ভালো দুটি সুযোগ পান আর্লিং হলান্ড। তবে প্রথমবার গোলরক্ষক বরাবর শট নেয়ার পর হেডও করেন ওই একইরকম। প্রথম ২০ মিনিটে ৭০ শতাংশের বেশি সময় বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশ্যে ছয়টি শট নেয় ম্যানসিটি। যেখানে মাত্র চারটি ছিল লক্ষ্যে। অবশ্য প্রথমার্ধের বাকি সময়ে আর কোনো শটই নিতে পারেনি তারা।

এরপর একটু একটু করে পাল্টা চাপ দেয়া রিয়াল ৩৪তম মিনিটে ভালো একটি আক্রমণ শাণায়। তবে ডান দিক থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস বেনজেমা বক্সে নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টায় তার হাতে বল লাগে। এর দুই মিনিট পরই অসাধারণ এক গোলে দলকে এগিয়ে নেন ভিনিসিউস।

বাঁ থেকে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার পাস ধরে একটু আড়াআড়ি ছুটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গোলের উদ্দেশ্যে এটাই ছিল তাদের প্রথম ও প্রথমার্ধে একমাত্র শট। দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে সমতায় ফেরার ভালো সুযোগ পায় ম্যানসিটি। তবে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে ওয়ান-অন-ওয়ানে কেভিন ডে ব্রুইনের কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন কোর্তোয়া। তিন মিনিট পর বক্সে ঢুকে হলান্ডের নেওয়া শট দারুণভাবে রুখে দেন ডিফেন্ডার ডাভিড আলাবা।

পরের ১৫ মিনিটে প্রায় একচেটিয়া আধিপত্য করে রিয়াল। চাপ সামলে ৬৭তম মিনিটে একক নৈপুণ্যে গোলে সমতা টানেন ডে ব্রুইনে। দূর থেকে নিচু জোরাল শটে বল জালে পাঠান বেলজিয়ান মিডফিল্ডার। ৭৮তম মিনিটে আবার এগিয়ে যেতে পারতো রিয়াল। তবে টনি ক্রুসের দূরের পোস্টে বাড়ানো ক্রসে বেনজেমার হেড দারুণ নৈপুণ্যে ঝাঁপিয়ে ফেরান গোলরক্ষক এদেরসন। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে আবারও দূর থেকে চেষ্টা চালায় রিয়াল। অহেলিয়া চুয়ামেনির জোরাল শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে কোনো বিপদ হতে দেননি ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন।

প্রথমার্ধে মাত্র লক্ষ্যে একটি শট নেয়া রিয়াল দ্বিতীয়ার্ধের প্রায় পুরোটা সময়ই প্রতিপক্ষের ওপর চাপ ধরে রাখে। এই অর্ধে ১২টি শট নেয় তারা, যদিও এর মাত্র দুটিই ছিল লক্ষে। বিপরীতে দ্বিতীয় ভাগে চারটি শট নিয়েই গোল আদায় করে নেয় সিটি।