• সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জুলাই শহীদদের স্বপ্ন বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত এক ‘নতুন বাংলাদেশ’ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার (১৬ জুলাই) জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। জুলাই শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘জুলাই শহীদরা স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থার। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের চেতনাকে ধারণ করে নতুন বাংলাদেশের পথে দৃপ্ত পদভারে একযোগে সবাই এগিয়ে যাবো—আজকের দিনে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার। গণ-অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে যারা নিজেদের উৎসর্গ করেছিলেন তাদের স্মরণে প্রথমবারের মতো আজ (বুধবার) পালিত হচ্ছে জুলাই শহীদ দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সরকার আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। এদিন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশের মাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও দেশব্যাপী মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও শহীদদের শান্তির জন্য প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, প্রথমবারের মতো আজ দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই শহীদ দিবস’। এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের শৃঙ্খল থেকে জাতিকে মুক্ত করার আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী সব শহীদকে। অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থা বিলোপের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের গুলিতে ও সন্ত্রাসীদের হামলায় এই দিনে চট্টগ্রাম, রংপুর ও ঢাকায় অন্তত ছয় জন শহীদ হন। তিনি বলেন, ক্ষণজন্মা অকুতোভয় এই বীরদের আত্মদান আন্দোলনে তীব্র গতির সঞ্চার করে। প্রতিবাদে দেশজুড়ে রাজপথে নেমে আসে লাখো শিক্ষার্থী-শ্রমিক-জনতা। আন্দোলনের তীব্রতার সঙ্গে বাড়তে থাকে শহীদদের সংখ্যা। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বৈষম্য ও কোটাবিরোধী আন্দোলন অচিরেই রূপ নেয় সরকার পতনের আন্দোলনে। সর্বস্তরের মানুষের দুর্বার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় স্বৈরাচার। হাজারো শহিদের রক্তের বিনিময়ে হয় মুক্তির নতুন সূর্যোদয়। শহীদদের স্মরণ ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে অন্তর্বর্তী সরকার বেশ কয়েকটি কল্যাণমূলক উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি। অধ্যাপক ইউনূস জানান, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতিকে ধরে রাখতে এবং শহীদ পরিবার ও আহতদের কল্যাণে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অধিদপ্তর’ এবং ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন’ গঠন করা হয়েছে। জুলাই শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত ও গেজেটে প্রকাশের কার্যক্রম চলমান আছে। তিনি আরও জানান, প্রতিটি শহীদ পরিবারকে এককালীন ৩০ লাখ টাকা ও মাসিক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। আহত জুলাই যোদ্ধাদের কল্যাণেও একই রকম নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাণীতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আত্মদানকারী সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করেন প্রধান উপদেষ্টা।

এবার গোপালগঞ্জে ইউএনওর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

এবার গোপালগঞ্জে ইউএনওর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

এনসিপির জুলাই পদযাত্রা: গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিলো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

এনসিপির জুলাই পদযাত্রা: গোপালগঞ্জে পুলিশের গাড়িতে আগুন দিলো নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ

মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুসংবাদ দিলেন আসিফ নজরুল

মালয়েশিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য সুসংবাদ দিলেন আসিফ নজরুল

থাকা-খাওয়ার খোঁটা দেওয়ায় দুই শিশু সন্তানসহ ভাবিকে হত্যা করেন নজরুল

থাকা-খাওয়ার খোঁটা দেওয়ায় দুই শিশু সন্তানসহ ভাবিকে হত্যা করেন নজরুল

বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব 

বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব 

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ রাষ্ট্রীয় শোক

‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষ্যে আজ রাষ্ট্রীয় শোক
১০ হাজার বাস রিজার্ভ, জনসমুদ্রে পরিণত হবে জামায়াতের সমাবেশ
১০ হাজার বাস রিজার্ভ, জনসমুদ্রে পরিণত হবে জামায়াতের সমাবেশ
আগামী ১৯ জুলাই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশকে দলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপস্থিতি ও সাড়াদানকারী সমাবেশে পরিণত করতে প্রতিদিনই ঢাকাসহ সারাদেশে মিছিল, মিটিং ও গণসংযোগ করছে দলটি। দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়েছেন, সমাবেশ সফল করতে এরই মধ্যে লঞ্চ ও ট্রেন বাদ দিয়ে শুধু ১০ হাজার বাস ভাড়া করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন— ১০ লক্ষাধিক নেতাকর্মীর সমাগম ঘটবে এবং এর জন্য শুধু ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক সার্বিক শৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকবে। জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পুলিশের সার্বিক সহযোগিতাসহ নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে সোয়া ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই বৈঠকে অংশ নেন। পুলিশের সহযোগিতার আশ্বাস ও সমাবেশ ব্যবস্থাপনা বৈঠক শেষে অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কয়েকদিন আগেও ডিএমপিতে এসেছিলাম। সাত দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আগামী ১৯ জুলাই জাতীয় সমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াতে ইসলামী। এই সমাবেশ সফল, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমরা পুলিশের কাছে সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছি। তখন ডিএমপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠকের পর আজকে আমরা আবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমাদের যারা নেতৃবৃন্দ, কর্মীরা সারাদেশ থেকে আসবেন, তাদের গাড়ি পার্কিং, কোন রুটে গাড়ি ঢুকবে, বের হবে, মাঠে মাইক সেটিংসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। তারা আমাদের কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। সবমিলিয়ে আমাদের পরিকল্পনা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করা। জুবায়ের জানান, যখন যেটা প্রয়োজন, পুলিশের পক্ষ থেকে সেই সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। তিনি আশা করছেন যে, সমাবেশে আসা-যাওয়া, নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থা সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ হবে। জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সবার যোগাযোগের নম্বর ডিএমপিকে দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য শঙ্কা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো ধরনের হুমকি বা সমাবেশ বাধাগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত এ ধরনের শঙ্কা করছি না। তারপরও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, বিশেষ করে ঢাকা মহানগর জামায়াতসহ সবাই সাবধান থাকব, সাবধান আছি। অনেক গেদারিং হবে, অনেক অনেক নেতাকর্মী আসবেন। নিরাপত্তাজনিত যেসব বিষয় রয়েছে, সেগুলো নিয়েই মূলত পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আমরা যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা বা পরিস্থিতি এড়াতে সবক্ষেত্রেই সাবধান থাকি সেজন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সমাবেশ বাস্তবায়নসহ শৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সিনিয়র নেতৃবৃন্দের যাতায়াত, গাড়ি ঢোকা-বের হওয়া, পার্কিং ব্যবস্থাপনাসহ সবকিছুর জন্য ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে। আমরা তো আশা করছি ইতিহাসের সর্বোচ্চ উপস্থিতি থাকবে জাতীয় সমাবেশে। এখন পর্যন্ত বিপুল সাড়া পাচ্ছি। শুধু ১০ হাজারের মতো বাস আসবে। এ ছাড়া, ট্রেন, লঞ্চ তো আছেই। আশা করছি ১০ লাখের বেশি জনসমাগম হবে, যোগ করেন জুবায়ের। ডিএমপির সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেওয়া ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যরা হলেন- কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মো. দেলাওয়ার হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক আবদুস সাত্তার সুমন। ডিএমপির পক্ষ থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইমস অ্যান্ড অপারেশন) নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া, সভায় উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম কমিশনার (অপারেশ) মো. শহীদুল্লাহ, উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) গৌতম কুমার বিশ্বাস, রমনা জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার মাসুদ আলমসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

নৌকা মার্কাকে কোন বিবেচনায় শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন

নৌকা মার্কাকে কোন বিবেচনায় শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনীতি হবে না : সালাহউদ্দিন আহমেদ

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নামে কোনো রাজনীতি হবে না : সালাহউদ্দিন আহমেদ

বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব 

বাংলাদেশকে চাঁদাবাজ-দুর্নীতিমুক্ত করেই আমরা ঘরে ফিরব 

ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২

ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৯২

একদিনে ২৯৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, অর্ধেকই বরিশাল-চট্টগ্রামে

একদিনে ২৯৪ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, অর্ধেকই বরিশাল-চট্টগ্রামে

একদিনে আরো ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১

একদিনে আরো ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
ইসরায়েলি হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট
দখলদার ইসরায়েলের হামলায় আহত হয়েছিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। গত ১৬ জুন এ হামলা হয়। ওই সময় পায়ে আঘাত পান তিনি। রোববার (১৩ জুলাই) ইরানি বার্তাসংস্থা ফার্স নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। তারা বলেছে, ১৬ জুন পশ্চিম তেহরানের একটি ভবনে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসেছিলেন পেজেশকিয়ান। তখন ওই ভবনে মিসাইল ছোড়ে দখলদাররা। প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে ওই সময় বৈঠক করছিলেন পার্লামেন্ট স্পিকার মোহাম্মদ বাঘের ঘালিবাফ, বিচারিক প্রধান মোহসেনি ইজিই এবং অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তারা। ফার্স নিউজ জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল, ইরানি প্রেসিডেন্টকেও একইভাবে হত্যা করতে চেয়েছিল ইসরায়েল। এ কারণে তারা ভবনটিতে ঢোকার ও বের হওয়ার ছয়টি পয়েন্টে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। যেন সেখানে বাতাসের প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং দমবন্ধ হয়ে তারা মারা যান। বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ইরানি কর্মকর্তারা ভবনটির বেজমেন্টে বৈঠক করছিলেন। কিন্তু যেহেতু আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া ছিল। তাই তারা আরেকটি বহির্গমন পথ ব্যবহার করে সেখান থেকে বের হয়ে যেতে সমর্থ হন। এ হামলার সঙ্গে ইসরায়েলি গুপ্তচর জড়িত ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দখলদাররা খুব সূক্ষ্ম তথ্যের ভিত্তিতে হামলাটি চালিয়েছে। ইরানের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান, বিপ্লবী গার্ডের প্রধান, পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের হত্যা করে। সূত্র: ফার্স নিউজ

ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা ইইউর

ট্রাম্পের শুল্কের জবাবে পাল্টা পদক্ষেপের ঘোষণা ইইউর

গণতন্ত্র ব্যর্থ, আধুনিক সভ্যতা ভেঙে পড়েছে— ১০০তম জন্মদিনে বললেন মাহাথির

গণতন্ত্র ব্যর্থ, আধুনিক সভ্যতা ভেঙে পড়েছে— ১০০তম জন্মদিনে বললেন মাহাথির

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নয়াদিল্লি

সেতু ভেঙে নদীতে পড়ল যানবাহন, ১০ জন নিহত

সেতু ভেঙে নদীতে পড়ল যানবাহন, ১০ জন নিহত

বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের স্বার্থের সম্ভাব্য মিলে হুমকি দেখছে ভারত

বাংলাদেশ-চীন-পাকিস্তানের স্বার্থের সম্ভাব্য মিলে হুমকি দেখছে ভারত

ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প

ইউক্রেনে আরও অস্ত্র পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র : ট্রাম্প
বিচার-সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্ত কনু মিয়া
বিচার-সাজা ছাড়াই কারাগারে ৩০ বছর, অবশেষে মুক্ত কনু মিয়া
মামলার বিচার হয়নি, সাজাও হয়নি। তারপরও কারাগারের অন্ধকারে কেটেছে ৩০ বছর ২ মাস ১৯ দিন। অবশেষে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন কনু মিয়া নামে এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ফিরেছেন স্বজনদের কাছে। প্রায় তিন দশক পর মুক্ত আকাশ আর আলো বাতাস দেখতে পেয়ে আপ্লুত কনু মিয়া। কনু মিয়ার বাড়ি হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার সিংহগ্রাম গ্রামে।  জানা গেছে- যুবক কনু মিয়া ছিলেন মানসিক রোগী। ১৯৯৫ সালের ২৫ মে ঘুমের মধ্যে মা মেজেষ্টর বিবিকে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন কনু মিয়া। পরে গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরের দিন ৩ লাইনের একটি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন কনু মিয়া। তারপর থেকে কনু মিয়ার জেল জীবন শুরু। এক দুই বছর নয় একাধারে ৩০ বছর ২ মাস ১৯ দিন কেটেছে কারাগারে। প্রথমে ভাই স্বজনরা কনু মিয়াকে দেখতে কারাগারে গেলেও একটা সময় আর যাওয়া হয়নি। পরিবারের অনেক সদস্য ভুলেই গিয়েছেন কনু মিয়া জীবিত না মারা গেছেন। ৩০ বছরের পরবর্তী প্রজন্মের অনেকে জানেনই না সিংহগ্রাম গ্রামে মৃত চিনি মিয়ার এক ছেলে আছে, যার নাম কনু মিয়া, সেই কনু মিয়া এখনও জীবিত। পরিবার আত্মীয় স্বজন যখন কনু মিয়াকে ভুলতে বসেছেন ঠিক সেই সময় এ বিষয়টি নজরে আসে হবিগঞ্জের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিনের। তিনি কনু মিয়ার আইনগত প্রতিকার পাওয়ার উদ্যোগ নেন। মেজেষ্টর বিবি হত্যা মামলার বাদী কনু মিয়ার ভাই মনু মিয়ার সন্ধান পান তিনি। একই সঙ্গে মনু মিয়ার আরেক ভাই নাসু মিয়ার খোঁজ খবর নিয়ে তাদেরকে লিগ্যাল এইড অফিসে নিয়ে আসেন সিনিয়র সহকারী জজ মুহাম্মদ আব্বাছ উদ্দিন। কনু মিয়ার জামিনের জন্য সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে জেনে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন মনু মিয়া ও নাসু মিয়া। তারা কনু মিয়ার মুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। মানসিক রোগে আক্রান্ত কোনো আসামির জামিনের বিষয়টি সচরাচর অন্যান্য আসামির জামিনের বিষয়ের মতো নয়। হত্যা মামলার একমাত্র আসামি কনু মিয়া মানসিক রোগে আক্রান্ত হওয়ায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত রয়েছে বলে জানা যায়। মানসিক রোগে আক্রান্ত আসামির জামিন মঞ্জুর হলে তার নিরাপত্তা, তার দ্বারা আর যাতে কেউ আক্রান্ত না হয় তার প্রাথমিক নিশ্চয়তা, খাদ্য বাসস্থানের নিশ্চয়তা, কোর্টের নির্দেশ মতো আসামিকে হাজির করা ইত্যাদি বিষয় সম্পৃক্ত থাকায় বিষয়টি নিয়ে লিগ্যাল এইড এর প্যানেলভুক্ত আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের সঙ্গে কথা বলেন লিগ্যাল এইড অফিসার মুহম্মাদ আব্বাছ উদ্দিন।  সার্বিক দিক বিবেচনায় গত ১৪ জুলাই হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজতি কনু মিয়ার জামিন আবেদন করেন লিগ্যাল এইডের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম এ মজিদ। জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম আসামি কনু মিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন। আর এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩০ বছরেরও বেশি সময় পর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান কনু মিয়া। লিগ্যাল এইডের আইনজীবী এম এ মজিদ জানান, দীর্ঘদিন পর হলেও জামিনে মুক্ত হয়েছেন কনু মিয়া। যা নিয়ে তার স্বজনরা উচ্ছ্বসিত। কনু মিয়ার ভাই মনু মিয়া জানান- আমাদের ভাই মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন পর সে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছে। এতে আমরা খুশি। 

এবার গোপালগঞ্জে ইউএনওর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

এবার গোপালগঞ্জে ইউএনওর গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর

বাংলাদেশে ভারত কিংবা পাকিস্তানপন্থি কোনো রাজনীতি হবে না : নাহিদ ইসলাম

বাংলাদেশে ভারত কিংবা পাকিস্তানপন্থি কোনো রাজনীতি হবে না : নাহিদ ইসলাম

বিএনপির নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে : রিজভী

বিএনপির নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে : রিজভী
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
লন্ডনে চুরি যাওয়া ফোনের অবস্থান এক মাস পর দেখাচ্ছে চীনে
লন্ডনে চুরি যাওয়া ফোনের অবস্থান এক মাস পর দেখাচ্ছে চীনে
এপ্রিল মাস, শনিবারের এক ভোরে আকারা ইতেহ মধ্য লন্ডনের হোলবর্ন টিউব স্টেশনে হেঁটে হেঁটে আসার সময় নিজের ফোন ঘাঁটছিলেন। মুহূর্ত কয়েক পরই ইলেকট্রিক বাইকে আসা এক ছিনতাইকারী তাঁর হাত থেকে ফোন ছিনিয়ে নেয়। নিজের ফোন উদ্ধারে ছিনতাইকারীর পেছনে ছুট লাগিয়েছিলেন আকারা। কিন্তু ধরতে ব্যর্থ হন। আকারা একা এ অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাননি; বরং এ বছর এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ড ও ওয়ালসে প্রায় ‘৭৮ হাজার’ ফোন ছিনতাই হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা অনেক বেশি। এ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে বিচার হওয়ার হার খুবই কম। পুলিশের বক্তব্য, তারা দায়ী অপরাধীদের খোঁজ করে। কিন্তু তারা যেভাবে গায়েব হয়ে যায় বা এত ঘন ঘন স্থান পরিবর্তন করে যে তাদের গ্রেপ্তার করা কঠিন হয়ে যায়। এ ধরনের অপরাধের শিকার ব্যক্তিরা তাঁদের দুর্দশার কথা বিবিসিকে বলেছেন। বলেছেন, ফোন হারিয়ে গেলে এমন অনেক ছবি ও তথ্য হারিয়ে যায়, যেগুলো আর কখনো ফিরে পাওয়া সম্ভব নয়। সঙ্গে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতি তো আছেই। তাঁদের মধ্যে আকারার মতো অনেকে আরও একটি কারণে নিদারুণ হতাশায় ডুবে যান। আকারা তাঁর ফোনটি কোথা থেকে কোথায় যাচ্ছে, তা অনলাইনে অনুসরণ করতে পারছেন; কিন্তু সেটি ফেরত আনার ক্ষমতা তাঁর নেই। ফোন ছিনতাই হওয়ার এক ঘণ্টা বা তার কিছু পরে বাড়িতে ফিরে আকারা তাঁর আইফোন ১৩ হারিয়ে গেছে (লস্ট মুড) অপশনটি চালু করেন। এটা করা হলে চোর ওই ফোন ব্যবহার করতে পারবে না। এরপর আকারা তাঁর ল্যাপটপের সাহায্যে ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ ফিচার চালু করেন। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে আকারা তাঁর ফোনটি কোথায় আছে, সেটা দেখতে পারেন। ল্যাপটপের স্ক্রিনে লন্ডনের বিভিন্ন জায়গায় নিজের ফোন ঘুরে বেড়াতে দেখেন আকারা। ফোন উদ্ধারের আশায় ল্যাপটপে দেখানো দুই জায়গায় নিজেই গিয়েছিলেন আকারা। তিনি বলেন, ‘এটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। উত্তেজনায়, রাগে আমি এটা করেছিলাম।’ আকারা অবশ্য কারও সঙ্গে কথা বলেননি। তবে বুঝতে পারছিলেন, তাঁকে কেউ অনুসরণ করছে। তিনি বাড়ি চলে যান। আকারা বলেন, ‘আমি খুবই ক্ষুব্ধ ছিলাম। ফোনটা দামি। ওই ফোন কিনতে আমি কঠোর পরিশ্রম করে অর্থ উপার্জন করি এবং কেউ একজন সব ঘেঁটে দিল।’ আকারার ফোনটি যখন চুরি যায়, তখন রাস্তায় তিনি পুলিশ দেখতে পেয়ে তাদের সবকিছু খুলে বলেছিলেন। যদিও তাঁর মনে হয়েছে, পুলিশ কর্মকর্তারা জানতেন, ফোন চুরি করতে চোররা ওই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাকে অনলাইনে অভিযোগ করার পরামর্শ দেয় এবং তিনি সেটা করেন। কয়েক দিন পর ই–মেইল পাঠিয়ে পুলিশ আকারাকে জানায়, তাঁর ফোন চুরির মামলাটির তদন্তকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বলেছে, ‘সম্ভবত আমরা দোষীদের শনাক্ত করতে পারব না।’ যেখান থেকে ফোন চুরি হয়েছিল, সেখানকার ছবি ও কিছু তথ্য আকারা পুলিশকে দিয়েছিলেন। পুলিশ সেটা গ্রহণ করেছে। কিন্তু ফোন উদ্ধারে আর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফোন চুরির ঠিক এক মাস পর, মে মাসে আকারা তাঁর ‘ফাইন্ড মাই আইফোন’ আবার দেখেন। তখন সেটির অবস্থান দেখাচ্ছিল শেনজেন, চীন। আকারা এবার সব আশা ছেড়ে দেন। চুরি যাওয়া অনেক ফোনের শেষ গন্তব্য হয় শেনজেন। সেখানে যদি ফোনটি খোলা এবং নতুন করে ব্যবহার করা না যায়, তাঁরা সেটির যন্ত্রাংশ খুলে ফেলে এবং আলাদা আলাদা করে বিক্রি করে। ১ কোটি ৭৬ লাখ মানুষের শহর শেনজেন, বিশাল বড় একটি প্রযুক্তিনগরী। শেনজেনকে তাই চীনের সিলিকন ভ্যালি বলা হয়।

লন্ডনে গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক

লন্ডনে গুরুতর অসুস্থ ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক

‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’-এ গাইবেন জেমস-হাসান

‘কনসার্ট ফর নিউ বাংলাদেশ’-এ গাইবেন জেমস-হাসান

লন্ডনের মতো শহরের তাপমাত্রা কমাতে পারে সাদা রং

লন্ডনের মতো শহরের তাপমাত্রা কমাতে পারে সাদা রং

লন্ডনের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে ফেরত আনা হচ্ছে ঢাকায়

লন্ডনের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমকে ফেরত আনা হচ্ছে ঢাকায়

ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ

ইসরায়েলের হামলা বন্ধের দাবিতে দেশে দেশে বিক্ষোভ

লন্ড‌নে প্রতি‌বেশীর ছুরি‌কাঘাতে বাংলা‌দেশি নিহত

লন্ড‌নে প্রতি‌বেশীর ছুরি‌কাঘাতে বাংলা‌দেশি নিহত
টাকা ছিটাচ্ছেন ট্রাম্প ও কমলা, কে এগিয়ে
টাকা ছিটাচ্ছেন ট্রাম্প ও কমলা, কে এগিয়ে
অক্টোবরে ১৬ দিনে ব্যয় ৬ হাজার কোটি টাকা। তহবিল সংগ্রহে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে কমলা। কমলার পক্ষে ভোটের জন্য অর্থ সংগ্রহ ১৮০ কোটি ডলার। ট্রাম্পের ২০২২ সাল থেকে এ পর্যন্ত সংগ্রহ ১০০ কোটি। ডেমোক্রেটিক পার্টির সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের ক্লার্কস্টন এলাকায়। ছবি: এএফপি অপতথ্যের ছড়াছড়ি বিগত কয়েক নির্বাচন থেকে দেখছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটাররা। এবার অর্থকড়ির ছড়াছড়িও দেখছেন তাঁরা। সর্বশেষ ১৬ দিনে মার্কিন নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী কমলা হ্যারিস, রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা ব্যয় করছেন আধা বিলিয়ন অর্থাৎ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৬ হাজার কোটি টাকা (১২০ টাকা প্রতি ডলার)। অর্থাৎ প্রতিদিন ব্যয় হয়েছে ৩৭৫ কোটি টাকা। নিউইয়র্ক টাইমসের গতকাল শুক্রবারের এক খবরে বলা হয়েছে, ভোটারদের তথ্য পেতে এবং বিজ্ঞাপনের জন্য এই অর্থ ব্যয় করছেন তাঁরা। ট্রাম্প ও হ্যারিসের প্রচার শিবির এই ১৬ দিনে ব্যয় করেছে ২৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার। আর এই দুই নেতার পক্ষে অন্যরা ব্যয় করেছে ২৬ কোটি ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম অনুসারে নির্বাচনী প্রচারের ব্যয়ের হিসাব দিতে হয় নির্বাচন কমিশনে। সেই হিসাব সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। কমলা হ্যারিস ১ থেকে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ব্যয় করেছেন ১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। নথি সূত্রে জানা গেছে, দিন দিন তাঁর এই খরচ বেড়েছে। কারণ, গত আগস্টে পুরো মাসে তিনি বিজ্ঞাপনে ব্যয় করেছেন ১৩ কোটি ডলার। নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, অক্টোবরের শুরুতে কমলা হ্যারিসের প্রচার শিবিরের তহবিলে জমা পড়েছে ১৮ কোটি ২৬ লাখ ডলার। তিনি এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মিলে তাঁদের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির হয়ে তুলেছেন ১৮০ কোটি ডলার। অর্থ সংগ্রহে পিছিয়ে আছেন ট্রাম্প। অক্টোবরে তাঁর প্রচার তহবিলে জমা পড়েছে ৯ কোটি ২১ লাখ ডলার। এ ছাড়া পুরো নির্বাচনী প্রচারেও অর্থ সংগ্রহ হয়েছে কম। ২০২২ সালে তিনি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দেন। এর পর থেকে চলতি অক্টোবর পর্যন্ত তিনি অর্থ সংগ্রহ করতে পেরেছেন ১০০ কোটি ডলার। অর্থ সংগ্রহ কম হওয়ায় খরচও কম করতে পেরেছেন ট্রাম্প। অক্টোবরের প্রথম ১৬ দিনে তিনি ব্যয় করেছেন ১০ কোটি ডলার। এর মধ্যে বিজ্ঞাপনে তিনি ব্যয় করেছেন ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার। নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, জুন, জুলাই ও আগস্টের চেয়ে তিনি বিজ্ঞাপনে ব্যয় বাড়িয়েছেন। তবে তাঁর হাতে আর বেশি অর্থ নেই ব্যয় করার মতো। তিনি বাকি সময়টায় ৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার ব্যয় করতে পারবেন। তবে এ তুলনায় কমলা হ্যারিসের হাতে অনেক বেশি অর্থ আছে। হিসাব অনুসারে, কমলার হাতে ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার আছে নির্বাচনের প্রচারে ব্যয় করার জন্য। নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির তহবিলে কারা টাকা দিচ্ছেন, তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষের নাম জানা যাচ্ছে। তবে সিংহভাগ অর্থ কোথা থেকে আসছে, সেটা জানা যাচ্ছে না। কমলা হ্যারিসের প্রচারে যারা সহযোগী হিসেবে কাজ করছে, সেই সুপার পিএসির তহবিল এসেছে ৪ কোটি ডলার। এই অর্থ কোথা থেকে এসেছে, সেটা জানা যাচ্ছে না।  ট্রাম্পের পাশে ইলন মাস্ক ট্রাম্পের প্রচারের শুরু থেকেই আছেন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ধনকুবের ইলন মাস্ক। আর্থিক এই খরার মধ্যে তিনি ট্রাম্পের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ট্রাম্পের জন্য গত ১৬ দিনে তিনি ব্যয় করেছেন ৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। ট্রাম্পের জন্য তিনি বরাদ্দ রেখেছেন ১১ কোটি ৯০ লাখ ডলার। নিউইয়র্ক টাইমসের হিসাব বলছে, আর্থিক খরা কাটাতে অতিরিক্ত ৪ কোটি ৩৬ লাখ ডলার ব্যয় করছেন তিনি।

গাজা-লেবাননে ‘তোমার মনে যা চায়, করো’: নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প

গাজা-লেবাননে ‘তোমার মনে যা চায়, করো’: নেতানিয়াহুকে ট্রাম্প

ইরানে ইসরায়েলের হামলা শেষ, এখন শান্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র

ইরানে ইসরায়েলের হামলা শেষ, এখন শান্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র

নবীরা বলে গেছেন, কিয়ামতের শুরু হবে মধ্যপ্রাচ্যেই: ট্রাম্প

নবীরা বলে গেছেন, কিয়ামতের শুরু হবে মধ্যপ্রাচ্যেই: ট্রাম্প

পবিত্র আশুরা: হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল দিন

পবিত্র আশুরা: হৃদয় বিদারক ঘটনাবহুল দিন

দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি, মারা গেছেন ৪১ জন

দেশে ফিরেছেন ৬০ হাজার ৫১৩ হাজি, মারা গেছেন ৪১ জন

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ব্যক্তিদের সুখবর দিলো সৌদি

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া ব্যক্তিদের সুখবর দিলো সৌদি
প্যারিসে স্বামীর নামে ‘তালা’ ঝুলালেন মেহজাবীন
প্যারিসে স্বামীর নামে ‘তালা’ ঝুলালেন মেহজাবীন
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যা মিলল
শরীরে পোকা, পচে গেছে মস্তিষ্ক— অভিনেত্রীর ময়নাতদন্ত রিপোর্টে যা মিলল
মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ, ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
মারধর ও অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগ, ডিপজলের বিরুদ্ধে মামলা
অদ্ভুত পোশাকের কারণে কটাক্ষের শিকার নেহা কক্কর
অদ্ভুত পোশাকের কারণে কটাক্ষের শিকার নেহা কক্কর
অতিরিক্ত মদ্যপানে নীল সিনেমার নায়িকার মৃত্যু
অতিরিক্ত মদ্যপানে নীল সিনেমার নায়িকার মৃত্যু
ভ্যাকসিন নিতেই রক্তচাপ কমে হার্টবিট বাড়ে, শেফালীর অবস্থার শিকার শ্রুতিকা
ভ্যাকসিন নিতেই রক্তচাপ কমে হার্টবিট বাড়ে, শেফালীর অবস্থার শিকার শ্রুতিকা
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট কর্মসূচি থাকছে না : সংস্কৃতি উপদেষ্টা
শাহরুখের সঙ্গে সংঘাতকে ‘ছেলেমানুষি’ বললেন আমির
শাহরুখের সঙ্গে সংঘাতকে ‘ছেলেমানুষি’ বললেন আমির
২৭ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
২৭ রানে অলআউটের লজ্জায় ডুবল ওয়েস্ট ইন্ডিজ
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়কত্ব পেয়েছিলেন রোস্টন চেজ। কিন্তু ঘরের মাঠেও তার এই নতুন অধ্যায়ের শুরুটা হয়তো ভুলে যেতেই চাইবেন। ক্যারিবীয়দের পেস-বান্ধব উইকেটে ৩ টেস্টই জিতে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। কেবল হোয়াইটওয়াশ হলেই হয়তো সান্ত্বনা পেতে পারতেন চেজ। তৃতীয় টেস্টে অবিশ্বাস্যভাবে তার দল মাত্র ২৭ রানেই গুটিয়ে গেছে। যা টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। জ্যামাইকার সাবিনা পার্কে এই ম্যাচ শেষে চেজের অভিব্যক্তিটা হয়তো দুই শব্দেই বোঝা যায়। তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই পারফরম্যান্সকে ‘হৃদয়বিদারক’ ও ‘বিব্রতকর’ কলে উল্লেখ করেছেন। আর মাত্র একটি রানের জন্য টেস্টের সর্বনিম্ন রানে অলআউটের লজ্জা থেকে কিছুটা রক্ষা পেয়েছে ক্যারিবীয়রা। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় তারা মাত্র ১৪.৩ ওভারেই ২৭ রানে অলআউট হয়েছে। ক্যারিবীয়দের এমন ধসের পেছনে তারা কী নিজেদেরই দায় দেবেন নাকি স্টার্ক-বোল্যান্ডের অতিমানবীয় বোলিংয়ের ভূমিকা রয়েছে সেই বিশ্লেষণ আপাতত তোলা থাকুক। ক্যারিবীয় ইনিংসের প্রথম ওভারেই ৩ উইকেট তুলে নিয়ে সেই ধসের শুরুটা করেন মিচেল স্টার্ক। শেষ পর্যন্ত তিনি শিকার করেন ৬ উইকেট। তার পাশাপাশি ইতিহাসের অংশ হয়েছেন স্কট বোল্যান্ডও। টেস্টের মাত্র দশম বোলার হিসেবে তিনি হ্যাটট্রিক করেছেন।  টেস্টে সর্বনিম্ন ২৬ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড হয়েছিল ৭০ বছর আগে। ১৯৫৫ সালে অকল্যান্ড টেস্টে নিজেদের মাটিতে নিউজিল্যান্ড সেই লজ্জায় ডুবেছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। সেটা হয়তো ক্যারিবীয়দের বিব্রতকর অনুভূতিতে লাগাম পরাবে না, তবে লজ্জাজনক ইনিংসের তালিকায় দুইয়ে রাখবে। এর আগে টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বনিম্ন ৪৭ রানে অলআউট হওয়ার নজির ছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্টও কাকতালীয়ভাবে হয়েছে জ্যামাইকার এই মাঠেই। এবার আরও ২০ রানের কমে ‍অলআউটের হলো রোস্টন চেজের দল। বিব্রতকর রেকর্ডগড়া এই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ব্যাটারই ডাক (শূন্য রান) নিয়ে আউট হয়েছেন। এমনকি তাদের প্রথম ছয় টপঅর্ডার ব্যাটার মিলে করেছেন মাত্র ৬ রান। যা টেস্ট ইতিহাসের কোনো ইনিংসে সর্বনিম্ন। এ ছাড়া ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংসে খেলা ১৪.৩ ওভার টেস্ট ইতিহাসে তৃতীয় সর্বনিম্ন। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পথে মাত্র ১২.৩ ওভার ব্যাট করেছিল। এ ছাড়া গত নভেম্বরে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ১৩.৫ ওভারে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। এর আগে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই টেস্টেও বড় ব্যবধানে (১৫৯ ও ১৩৩ রান) জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। প্রতিটি ম্যাচেই বোলারদের সামনে ব্যাটাররা অসহায় ছিলেন ঠিকই, তবে অস্ট্রেলিয়ার তুলনায় ক্যারিবীয়রাই তাতে দ্বিগুণ মাত্রায় ভুগেছে। কিংস্টনের সাবিনা পার্কে তৃতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করা অজিরা মাত্র ২২৫ রানে গুটিয়ে যায়। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে তাদের চেয়েও ৮২ রান কম (১৪৩)। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসেও ধস নামে, এবার তারা ১২১ রানেই অলআউট। তবুও প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে তাদের পুঁজিটা ২০৩ রানে দাঁড়ায়। তার বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের সম্বল মাত্র ২৭! দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেবল সপ্তম ব্যাটার জাস্টিন গ্রিভস (১১) ‍দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট শিকার করেন স্টার্ক। এ ছাড়া হ্যাটট্রিক করা বোল্যান্ড ২ রানে ৩ উইকেট এবং জশ হ্যাজলউড অবশিষ্ট ১ উইকেট নেন। 

২ লাল কার্ড, ৫ গোলের ম্যাচে বাংলাদেশের নাটকীয় জয়

২ লাল কার্ড, ৫ গোলের ম্যাচে বাংলাদেশের নাটকীয় জয়

একশর আগেই অলআউট লঙ্কনরা, বড় জয়ে সিরিজে ফিরলো টাইগাররা

একশর আগেই অলআউট লঙ্কনরা, বড় জয়ে সিরিজে ফিরলো টাইগাররা

রানতাড়ায় অবিশ্বাস্য রেকর্ড, ১৪.২ ওভারেই পেরোল ২৪৪

রানতাড়ায় অবিশ্বাস্য রেকর্ড, ১৪.২ ওভারেই পেরোল ২৪৪

বন্যায় টেলিযোগাযোগ সচল রাখতে দেওয়া হলো জেনারেটর

বন্যায় টেলিযোগাযোগ সচল রাখতে দেওয়া হলো জেনারেটর

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দিচ্ছে সরকার

বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দিচ্ছে সরকার

চালু হলো গুগল পে, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে

চালু হলো গুগল পে, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় আছে: বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি খুবই ভালো অবস্থায় আছে: বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশের বর্তমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা প্রায় এক বছর আগের তুলনায় খুবই ভালো অবস্থায় আছে বলে মন্তব্য করেছে বিশ্বব্যাংক। সচিবালয়ে আজ অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এই মন্তব্য করেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট।খবর বাসসের। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের মন্তব্য হচ্ছে-বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক অবস্থা এখন খুবই ভালো।’ তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমরা আশঙ্কা করেছিলাম, পরিস্থিতি আমাদের জন্য খুব কঠিন হয়ে উঠতে পারে।  কিন্তু এখন আমরা মনে করছি আমরা সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছি।’ অর্থ উপদেষ্টা বলেন, নতুন দায়িত্বে জোহানেস জুট এখন থেকে দক্ষিণ এশিয়ায় বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রম দেখবেন এবং তার অফিস ওয়াশিংটনের পরিবর্তে নয়াদিল্লিতে থাকবে। তিনি বলেন, জোহানেস জুট বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের চলমান বিভিন্ন প্রকল্প ও বাজেট সহায়তার বিষয়ে অবহিত আছেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে বলে প্রায় এক বছর আগে মনে করা হলেও, বর্তমানে সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট দেশের আর্থিক খাত, পেমেন্ট ব্যালান্স এবং বৈদেশিক মুদ্রা খাতের উন্নত অবস্থা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, জোহানেস জুট বেসরকারি খাতের বিকাশ এবং আরও বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) আকর্ষণের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো বলে স্বীকার করেছেন জোহানেস জুট।  তিনি আরও বলেন, ১০-১২ বছর আগে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে যে পরিবর্তন হয়েছে, তা জুট ইতিবাচকভাবে উল্লেখ করেছেন। বৈঠকে আইএফসি’র কার্যক্রম সম্পর্কিত বিষয়ও আলোচনা হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিশ্বব্যাংকের কাছে চাওয়া সব সহায়তা  পেয়েছে। তিনি বলেন, আগামী অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফ গ্রুপের বার্ষিক সভায় প্রত্যাশিত সহায়তার পরবর্তী ধাপ উত্থাপন করা হবে । অপর এক প্রশ্নের জবাবে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক খাতে, বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) নেওয়া সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংক সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ব্যাংকগুলোর পুনর্গঠন শুরু হয়েছে এবং এনবিআরকে দুটি পৃথক সংস্থায় বিভাজনের সিদ্ধান্তের পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় বিশ্বব্যাংক, যদিও এতে কিছুটা সময় লাগবে। সালেহউদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর, লালদিয়ায় কনটেইনার টার্মিনাল সম্পর্কেও আলোচনা হয়েছে এবং  বিশ্বব্যাংক অবকাঠামো খাতে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। মার্কিন শুল্ক ইস্যু নিয়ে জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বাণিজ্য উপদেষ্টা ও আলোচনা প্রতিনিধি দলের প্রধান দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট জোহানেস জুট গতকাল ঢাকায় এসেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিশ্বব্যাংক এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে, যার বেশিরভাগই অনুদান বা স্বল্প সুদে ঋণ।

১২ দিনে এলো এক বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

১২ দিনে এলো এক বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স

যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক নিয়ে তিন দিনের আলোচনা শেষ, আশাবাদী বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রে শুল্ক নিয়ে তিন দিনের আলোচনা শেষ, আশাবাদী বাংলাদেশ

কিছু বিষয় অমীমাংসিত রেখেই শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের আলোচনা

কিছু বিষয় অমীমাংসিত রেখেই শেষ হলো দ্বিতীয় দিনের আলোচনা

এক নজরে ১১ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা, নো ১টি

এক নজরে ১১ কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা, নো ১টি

২৩ কোম্পানি ইপিএস ও লভ্যাংশের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

২৩ কোম্পানি ইপিএস ও লভ্যাংশের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

১২ কোম্পানির ইপিএসের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা

১২ কোম্পানির ইপিএসের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা
বসুন্ধরা সিটিতে নাজাত ফ্যাশন, নতুন আউটলেট উদ্বোধন
বসুন্ধরা সিটিতে নাজাত ফ্যাশন, নতুন আউটলেট উদ্বোধন
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে জনপ্রিয় মডেস্ট ফ্যাশন ব্র্যান্ড ‘নাজাত’ ফ্যাশনের আউটলেট উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব শপে (লেভেল ৫, ব্লক-ডি, শপ ৩৩-৩৪) এক গ্র্যান্ড ওপেনিংয়ের আয়োজন করা হয়।  গ্রান্ড ওপেনিংয়ে ক্রিয়েটিভ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাহেদ হাসান, জনপ্রিয় নন গ্লামারস অভিনেত্রী অহনা রহমান, মডেস্ট ফ্যাশন ব্লগার এবং ইনফ্লুয়েন্সার তাসনুভা হৃদি, জনপ্রিয় ফুড ও লাইফস্টাইল ব্লগার ফাবিয়া হাসান (ফুড আপ্পি), নাজাত ফ্যাশনের সিইও খালিদ সাইফুল্লাহসহ প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা কর্মচারি এবং বিভিন্ন পর্যায়ের গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় নন গ্লামারস অভিনেত্রী অহনা রহমান বলেন, নাজাত ফ্যাশন সব সময় ভিন্নধর্মী আর ভালো পোশাক গ্রাহকদের দেওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকে। সবচেয়ে ভালো দিক হলো, দেশের সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে তুলনামূলক সাশ্রয়ী মূল্যে ভালো মানের বোরকা নাজাত ফ্যাশন সরবরাহ করে থাকে। তাদের পথচলা শুভ হোক।  মডেস্ট ফ্যাশন ব্লগার এবং ইনফ্লুয়েন্সার তাসনুভা হৃদি বলেন, নাজাত ফ্যাশনের বোরকা আমি দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহার করে আসছি। এক কথায় নাজাত ফ্যাশনের বোরকার গুণগত মান যথেষ্ট ভালো। আর তারা বিশ্বমানের প্রোডাক্ট সরবারহ করে থাকে। প্রতিটি কাজের কোয়ালিটি ১০০% নিশ্চিত করে বলেই আমিও নাজাত ফ্যাশনকে লাখো কোটি মানুষের সামনে তুলে ধরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাদের জন্য শুভ কামনা।    এ সময় জনপ্রিয় ফুড ও লাইফস্টাইল ব্লগার ফাবিয়া হাসান বলেন, আমরা চাই নাজাত ফ্যাশনের মতোই আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দেশে বিশ্বমানের আরও আউটলেট আসুক। নাজাত ফ্যাশন সাধারণ মানুষকে ভালো মানের পোশাক সরবরাহ করে নিজেদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখুক, এটাই চাওয়া।    অনুষ্ঠানে ক্রিয়েটিভ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশাহেদ হাসান বলেন, প্রিয় গ্রাহক, শুভানুধ্যায়ী ও ফ্যাশনপ্রেমী সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন। আমাদের নাজাত ফ্যাশন এবার দেশের অন্যতম বৃহত্তর শপিং মল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে প্রথম এক্সক্লুসিভ আউটলেট নিয়ে এসেছে। সুনিপুণভাবে যতেœর সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানের কারিগরদের দ্বারা তৈরি বাহারি ডিজাইনের বোরকার জন্য এখন নাজাত ফ্যাশন কাস্টমারদের কাছে ভরসার আরেক নাম। আমরা এর জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। সবচেয়ে সাশ্রয়ী দামে কাস্টমারদের ডিজাইনার কোয়ালিটি মডেস্ট ওয়্যার উপহার দিতে এবং মুসলিম নারীদের জন্য হজ্জ্ব ও ওমরাহ’র পোশাকের ওয়ান স্টপ সলিউশন হিসেবে নাজাত পোশাক সরবরাহেও কাজ করছে। অনলাইনের পাশাপাশি কাস্টমার যেন সরাসরি প্রডাক্ট দেখে নিতে পারেন, সেই পথকে আরও সুগম করতে আজ নাজাত ফ্যাশন প্রথম আউটলেট নিয়ে এসে বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে তার যাত্রা শুরু করল। প্রথম ৭ দিন ২০ শতাংশ ডিসকাউন্ট দিয়ে প্রোডাক্ট কিনতে পারবেন যে কেউ। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।  উল্লেখ্য, অনলাইনের মাধ্যমে সঠিক দামে আধুনিক ডিজাইন ও বেস্ট কোয়ালিটির বোরকা সরবরাহ করে ইতোমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে নাজাত ফ্যাশন। বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে তাদের প্রথম আউটলেট উদ্বোধন হলো।

দুর্গাপূজার সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক

দুর্গাপূজার সঙ্গে ইলিশের কী সম্পর্ক

রমজানে সুস্থ থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ পরামর্শ

রমজানে সুস্থ থাকতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষ পরামর্শ

সেহেরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্যকর নয়

সেহেরিতে যেসব খাবার স্বাস্থ্যকর নয়

নামাজের সময়সূচি

বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
*স্থানভেদে সময়ের পার্থক্য হতে পারে
মায়ের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকায় ছেলের উদ্যোগ
মায়ের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকায় ছেলের উদ্যোগ
চাকরি আবদুল বাকীকে কখনোই টানেনি। অভাবের সংসারে পরিবারের হাল ধরতে কখনো ফ্রিল্যান্সিং, কখনোবা টিউশনি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের এই শিক্ষার্থী। তাতেও মনের খেদ মিটছিল না। সব সময় উদ্যোগী হয়ে কিছু একটা করতে, উদ্যোক্তা হতে চেয়েছেন তিনি। গত ২১ সেপ্টেম্বর সেই স্বপ্নই পূরণ হয়েছে। তিন বন্ধু ও এক অনুজকে নিয়ে দিয়েছেন ‘আহার মেলা’। খাবারের এই দোকানে তাঁর সহযোগীরা হলেন রাজশাহী কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শাহাদাত হোসেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি স্টাডিজ বিভাগের আল-মুত্তাকিন, আরবি বিভাগের আমির হামজা ও ফারসি বিভাগের সামিউল ইসলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাইল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের উল্টো দিকে গেলেই চোখে পড়বে এই দোকান। আহার মেলায় ভাত, খিচুড়ি, ভর্তা, ডাল, মাছ, মাংস, সবজি ও ডিমের তরকারি পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৬০ ও ৭০ টাকার দুটি প্যাকেজ আছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন (শুক্র ও শনিবার) ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দোকান খোলা থাকে। আবদুল বাকী বলেন, ‘যেহেতু ক্লাস-পরীক্ষার সময়ে দোকানটি চালু থাকে, আমাদের অনেকেরও ওই সময় ক্লাস থাকে। যার যেদিন ক্লাস-পরীক্ষা থাকে, সে সেদিন থাকে না। যদি সবারই একসঙ্গে ক্লাস-পরীক্ষা থাকে, সেদিন দোকান বন্ধ রাখতে হয়।’ পারিবারিকভাবে সচ্ছল ছিলেন না বাকী। কলেজজীবন থেকে এ কাজ-ও কাজ করেছেন। দুই বছর আগে বাবা মারা গেলে আর্থিক দৈন্য আরও বেশি জেঁকে বসে। মূলত সে সময়ই ব্যবসার কথা ভাবতে থাকেন। মাকে পরিকল্পনার কথা শোনান। মা রাজি হন, নিজের শেষ সম্বল ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন ছেলের হাতে। এই মূলধনের ওপরই দাঁড়িয়ে আছে আহার মেলা। আপাতত ব্যবসা গোছানোর দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন এই উদ্যোক্তা। ভবিষ্যতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আহারমেলার শাখা চালু করতে চান।

সফলতার সঙ্গে লেখাপড়ার সম্পর্ক কতটুকু

সফলতার সঙ্গে লেখাপড়ার সম্পর্ক কতটুকু

প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে এখন গবেষণায় জোর

প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসে এখন গবেষণায় জোর

২৪ ঘণ্টাই পাশে থাকবে ‘অটোমামা’

২৪ ঘণ্টাই পাশে থাকবে ‘অটোমামা’

টিউশনি পড়িয়েও পেয়েছে জিপিএ-৫, এখন কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

টিউশনি পড়িয়েও পেয়েছে জিপিএ-৫, এখন কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা

এবার এসএসসির ফল প্রকাশে থাকবে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা

এবার এসএসসির ফল প্রকাশে থাকবে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা

১০ জুলাই দুপুর ২টায় প্রকাশ করা হবে এসএসসির ফল

১০ জুলাই দুপুর ২টায় প্রকাশ করা হবে এসএসসির ফল