রাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ঠিক রাখতে কমলো ১৬৮ আসন

ফানাম নিউজ
  ২৬ মে ২০২২, ১১:৪৩

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ১৫ বিভাগে ১৬৮টি আসন কমানো হয়েছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা (কোটা ছাড়া) কমে দাঁড়িয়েছে চার হাজার পাঁচটি। চলতি ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে পুনর্নির্ধারিত আসন অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হবে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপাত বজায় রাখতে আসন কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষা ও গবেষণার মান এবং আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সুবিধা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত শিক্ষাবর্ষে কোটা ছাড়া চার হাজার ১৭৩টি আসন ছিল। এবার তা থেকে ১৬৮টি আসন কমানো হয়েছে। অনুষদভিত্তিক সবচেয়ে বেশি আসন কমেছে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে। এ অনুষদের সাত বিভাগে ৮২টি আসন কমানো হয়েছে। এরমধ্যে অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও লোকপ্রশাসন বিভাগে আসন কমেছে ১০টি করে ৩০টি। সমাজকর্ম ও সমাজবিজ্ঞানে ২০টি করে ৪০টি আসন কমানো হয়েছে। এছাড়া নৃবিজ্ঞান ও ফোকলোর বিভাগে ছয়টি করে ১২টি আসন কমানো হয়েছে।

কলা অনুষদে আসন কমেছে ৩৫টি। এর মধ্যে ইতিহাস বিভাগে কমেছে ১০টি, বাংলায় ২০টি এবং নাট্যকলা বিভাগে পাঁচটি আসন কমেছে। জীব বিজ্ঞান অনুষদের মনোবিজ্ঞান বিভাগে আসন কমেছে পাঁচটি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগে কমেছে ১৫টি আসন।

প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ১০টি এবং ভূ-বিদ্যা অনুষদের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে কমেছে ছয়টি আসন। এছাড়া চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগে ১৫টি আসন কমানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার এ এইচ এম আসলাম হোসাইন জানান, আসন কমানোর প্রক্রিয়াটি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত অনুযায়ী বিভাগগুলোতে আসন নির্ধারণ করার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনা ওঠে। কাউন্সিলের সদস্যদের পরামর্শে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) চিঠি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

তিনি বলেন, ‘ইউজিসি বিভাগগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে আসন কমানো যেতে পারে বলে মতামত দেয়। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে প্রত্যেকটি বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। ১৫টি বিভাগ আসন কমানোর অনুমোদন করে। বিভাগগুলোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আসন কমানো হয়েছে।’

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে বলেন, ‘শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত বিশ্বমানের করে তোলার বিষয়টি চিন্তা করে কিছু আসন কমানো হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু আবাসন ব্যবস্থা, গবেষণা ও শিক্ষার মান সুষ্ঠুভাবে ধরে রাখা এবং পাঠদান দ্বিমুখী করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এত শিক্ষার্থী নিয়ে ক্লাস করানোর সময় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনায় মনোনিবেশ করতে পারে না। পরবর্তীতে নিয়োগের মাধ্যমে শিক্ষক বাড়ানো হলে আসন সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে।’

জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যঅলয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন বুধবার (২৫ মে) দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়েছে। এ আবেদন প্রক্রিয়া চলবে ৯ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত। প্রাথমিক বাছাইয়ে নির্বাচিত প্রার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। আগামী ১৫ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত চলবে চূড়ান্ত আবেদন প্রক্রিয়া।

সূত্র: জাগো নিউজ