‘শাবির আন্দোলন নিয়ে ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টায় তৃতীয় পক্ষ’

ফানাম নিউজ
  ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ২২:২২

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত বলেও দাবি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমতউল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। 

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ১৩ জানুয়ারি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের বিভিন্ন ইস্যুতে প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্রীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন চলাকালে পুলিশের বলপ্রয়োগের মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে ওই হলের প্রভোস্ট পদত্যাগ করেন। আন্দোলনকে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মূল দাবি পূরণ হওয়ার পরও উপাচার্যের পদত্যাগের আন্দোলনে রূপ নেয়। আন্দোলনের এই রূপান্তরের বিষয়টি অত্যন্ত অনভিপ্রেত এবং উদ্বেগের। যা খতিয়ে দেখার দাবি রাখে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, চলমান পরিস্থিতিতে রোববার আন্দোলনকারীরা হঠাৎ করেই উপাচার্যের বাসার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে, যা অমানবিক। এটা শিক্ষাঙ্গনের আন্দোলনে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত মাত্রা যুক্ত করেছে। শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মধ্যে যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করাই বাঞ্ছনীয় বলে বিবৃতি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীর বাইরে তৃতীয় একটি পক্ষ এই আন্দোলনে ফায়দা হাসিল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত দাবি করে বিবৃতিতে আরও বলা হয়, একটি বিশেষ মহল এই আন্দোলনকে সরকার বিরোধী আন্দোলনে রূপান্তরের অপচেষ্টা করছে বলে মনে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানানো হয়েছে বিবৃতিতে। 

বিবৃতিতে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবিলম্বে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সরকারকে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি পুলিশী হামলায় কারও কোনো উসকানি রয়েছে কি না তাও তদন্ত করার দাবি জানানো হয়। 

সূত্র: যুগান্তর