গর্ভাবস্থায় ‘প্রিক্ল্যাম্পসিয়া’ কেন হয়, কোন লক্ষণে সতর্ক হবেন?

ফানাম নিউজ
  ২৩ মে ২০২৩, ০০:২৯

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া গর্ভাবস্থার একটি জটিলতা। এ সময় প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার কারণ হতে পারে উচ্চ রক্তচাপ, প্রস্রাবে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকা যা কিডনির ক্ষতি করে (প্রোটিনুরিয়া) বা অন্যান্য অঙ্গে সমস্যা থাকা।

প্রিক্ল্যাম্পসিয়া সাধারণত ২০ সপ্তাহের গর্ভাবস্থার পরে শুরু হয়। চিকিত্সা না করা হলে, প্রিক্ল্যাম্পসিয়া মা ও শিশু উভয়ের জন্য গুরুতর, এমনকি মারাত্মক জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।

গর্ভাবস্থায় এ সমস্যা দেখা দিলে শিশুকে বাঁচতে ডেলিভারি সুপারিশ দেন বিশেষজ্ঞরা। প্রিক্ল্যাম্পসিয়া কতটা গুরুতর ও আপনি কত সপ্তাহের গর্ভবতী তার উপর যদিও প্রসবের সময় নির্ভর করে।

তবে প্রসবের আগে প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার চিকিৎসা হিসেবে রক্তচাপ ও জটিলতাগুলো কমাতে ওষুধ গ্রহণের পরামর্শ দেন চিকিৎসক।। আবার শিশুর প্রসবের পরেও প্রিক্ল্যাম্পসিয়া হতে পারে, এটি একটি অবস্থা যা প্রসবোত্তর প্রিক্ল্যাম্পসিয়া নামে পরিচিত।

প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার লক্ষণ কী কী?

১. প্রস্রাবে অতিরিক্ত প্রোটিন (প্রোটিনুরিয়া) বা কিডনির সমস্যার অন্যান্য লক্ষণ
২. রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কমে যাওয়া (থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া)
৩. বর্ধিত লিভার এনজাইম, যা লিভারের সমস্যা নির্দেশ করে
৪. তীব্র মাথাব্যথা
৫. দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন, দৃষ্টিশক্তির সাময়িক ক্ষতি, ঝাপসা দৃষ্টি বা আলোর সংবেদনশীলতা
৬. শ্বাসকষ্ট ও ফুসফুসে তরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া
৭. উপরের পেটে ব্যথা, সাধারণত ডান পাশের পাঁজরের নিচে
৮. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
৯. স্বাস্থ্যকর গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধি ও ফোলাভাব (এডিমা) সাধারণ। বিশেষ করে মুখে ও হাতে প্রিক্ল্যাম্পসিয়ার লক্ষণ দেখা দেয়।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

গর্ভাবস্থায় যদি গুরুতর মাথাব্যথা, ঝাপসা দৃষ্টি বা অন্যান্য দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত, গুরুতর পেটে ব্যথা বা তীব্র শ্বাসকষ্ট হয় তাহলে দ্রুত ডাক্তার দেখাতে হবে।

যেহেতু মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব ও ব্যথা গর্ভাবস্থার সাধারণ কিছু লক্ষণ, তাই অনেকেই হয়তো প্রিক্ল্যাম্পসিয়ারি লক্ষণ অবহেলা করেন। সেক্ষেত্রে বিপত আরও বাড়তে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় সামান্য শারীরিক সমস্যাও উপেক্ষা করা উচিত নয়।

আজ বিশ্ব প্রিক্ল্যাম্পসিয়া দিবস। প্রতি বছর ২২ মে পালিত হয় দিবসটি। জানলে অবাক হবেন, গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা ও প্রিক্ল্যাম্পসিয়া বছরে প্রায় ৭৬ হাজার মা ও ৫ লাখ নবজাতককে প্রভাবিত করে। এজন্য গর্ভাবস্থায় প্রতিটি নারীরই উচিত এ বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখা ও সতর্ক থাকা।

সূত্র: মায়োক্লিনিক/ন্যাশনালটুডে