ইরানে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিল করবে যুক্তরাষ্ট্র

ফানাম নিউজ
  ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১২

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, জনগণের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে তেহরানের বাধা মোকাবিলায় সেখানে ইন্টারনেট নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। খবর বিবিসির।

ঠিকমতো হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের তথাকথিত নৈতিকতা রক্ষার দায়িত্বে থাকা পুলিশ বাহিনীর হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ইরান। বিক্ষোভের পর থেকে ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে ইন্টারনেট সেবা প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, ইরানি জনগণ যাতে বিচ্ছিন্ন ও অন্ধকারে না থাকে এ জন্য আমরা তাদের সাহায্য করতে যাচ্ছি।

সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার ফলে আমেরিকান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো ইরানে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে পারবে।

গত এক বছরে ইরানে সহিংসতায় কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছেন।

গত সপ্তাহে হিজাব আইন ভঙ্গের অভিযোগে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনিকে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়।

ব্লিঙ্কেন বলেন, ইন্টারনেট বিধিনিষেধের আংশিক শিথিলকরণ হলো ইরানি জনগণের দাবির প্রতি অর্থপূর্ণ সমর্থন জানানোর সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ। তাদের মৌলিক অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো।

তিনি যোগ করেন, এটি পরিষ্কার যে- ইরানি সরকার তার জনগণকে ভয় পায়।

মার্কিন ট্রেজারি জানিয়েছে যে, এই পদক্ষেপটি জনগণের উপর ইরান সরকারের ‘নজরদারি ও সেন্সর’প্রচেষ্টাকে মোকাবিলা করতে সহায়তা করবে।

পুলিশ মাহসাকে হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরিবারের অভিযোগ গ্রেপ্তারের পর তাকে পেটানো হয়।

পুলিশ আমিনির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল যে তিনি নারীদের হিজাব বা চাদর দিয়ে চুল ঢেকে রাখা এবং ঢিলেঢালা পোশাক পরার আইন ভঙ্গ করেছেন। পুলিশের একটি ডিটেনশন সেন্টারে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরপরই তিনি কোমায় চলে যান।

 
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেছেন, পুলিশ আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে বাড়ি মারে এবং তাদের একটি গাড়ির সঙ্গে আঘাত করার পর তার মাথা ফেটে যায়।

মাহসার মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল ইরান। ফেসবুক ও টুইটারে #mahsaamini এবং #Mahsa_Amini হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে চলছে প্রতিবাদ। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় নারীর পোশাকের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় নিরাপত্তা বাহিনীর।