ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই, এগিয়ে লুলা

ফানাম নিউজ
  ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০৮:১২

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দিনভর ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে গণনা। এ পর্যন্ত অন্তত ৮৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষ হয়েছে, তাতে দৃশ্যমানভাবে কেউই এগিয়ে নেই। দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারো ও সাবেক প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যে ৮৫ শতাংশ ভোটর ফল জানা গেছে, তার মধ্যে লুলা দা সিলভা ৪৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তার চেয়ে অল্প ব্যবধানে পিছিয়ে আছেন বলসোনারো। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। খবর বিবিসির।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ দুটি শহর রিও ডি জেনেরিও ও সাও পাওলো। এ দুটি শহরের ভোটের ফলাফল এখনো জানা যায়নি। সেখানে কিছুটা ধীরগতিতে ভোট গণনা চলছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে রিও ডি জেনেরিও ও সাও পাওলোতে জয়ী হয়েছিলেন বলসোনারো।

অন্যদিকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলেও ভোট গণনায় কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে। ঐতিহ্যগতভাবে এ অঞ্চলে লুলা দা সিলভা শক্তিশালী। ফলে এখনই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না। ব্রাজিলের গুরুত্বপূর্ণ এ নির্বাচনে কে জিতবেন, তা জানতে আরও কিছু সময় অপেক্ষায় করতে হবে।

রান অফ এড়াতে একজন প্রার্থীকে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হবে। দেশটির নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম দফায় কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ বা তার বেশি ভোট না পেলে ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় দফা ভোট হবে। এতে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া দুই প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

স্থানীয় সময় রোববার (২ অক্টোবর) সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। স্থানীয় সময় রাত ৯টা পর্যন্ত ৮৫ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ফল এসেছে। এখনো বৈধ ১৫ শতাংশ ভোট গণনা চলছে।

এদিকে, ভোটগ্রহণের একদিন আগে সর্বশেষ জরিপের তথ্যানুযায়ী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন লুল দা সিলভা।

ডাটাফোলা নামের একটি জরিপ সংস্থা জানিয়েছিল, ৫০ শতাংশ ভোটার এবারের নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে লুলাকে বেছে নিয়েছেন। আর বসসোনারোর পক্ষে রায় দেন ৩৬ শতাংশ ব্রাজিলিয়ান।

‘দারিদ্র্যের শত্রু’ নামের সবার কাছে পরিচিত লুলা। অন্যদিকে, বর্তমান প্রেসিডেন্ট বলসোনারো আমাজন ‘বনখেকো’ বলেও চিহ্নিত হয়েছেন।

এছাড়া করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতাসহ আরও বেশ কয়েকটি কারণে বলসোনারোর জনপ্রিয়তা কমে গেছে সম্প্রতি। তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে বেছে নেন দেশটির জনগণ, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।