এস-৪০০ এর ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক

ফানাম নিউজ
  ০৯ নভেম্বর ২০২১, ১১:৩৮

আকাশ প্রতিরক্ষায় দূরপাল্লার সাইপার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার সফল পরীক্ষা চালিয়েছে তুরস্ক।

দেশটির শীর্ষস্থানীয় প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে শনিবার এ নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তুরস্কের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ।

প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের (এসএসবি) প্রধান ইসমাইল দেমির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটি নানা পরীক্ষা শেষে ২০২৩ সালে ব্যবহারের জন্য সেনাবাহিনীকে দেওয়া হতে পারে। ইসমাইল দেমির বলেন, তুরস্ক নতুন অস্ত্র তৈরি অব্যাহত রাখবে এবং  দেশের অন্তত ছয়টি পর্যন্ত ভিন্ন ভিন্ন আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকবে।

সাইপার প্রকল্পটি চলছে তুরস্কের প্রতিরক্ষা জায়ান্ট হিসেবে বিবেচিত আসেলসান, রকেতসান এবং তুরস্কের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা পরিষদের প্রতিরক্ষা শিল্প গবেষণা ও উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের (এসএজিই) অধীনে। আশা করা হচ্ছে, রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রতিদ্বন্দ্বী হবে এই সাইপার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা। এ ছাড়া কুরকুট, সানগার, হিসার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে তুরস্ক।

প্রেসিডেন্সি অব ডিফেন্স ইন্ড্রাস্ট্রিজের (এসএসবি) প্রধান বলেন,  তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প দেশের নিরাপত্তার জন্য স্থল, আকাশ, সমুদ্র, মহাকাশ এবং সাইবার স্পেসের ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে। আমরা বেশ কিছু ক্ষেত্রে বিশ্বের নেতৃত্ব দেওয়া দেশের একটি এবং আমরা প্রতিযোগিতামূলক পণ্য উৎপাদন করছি। যদিও আমরা সব সময় বলে আসছি, আমাদের লক্ষ্য প্রতিরক্ষা শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়া।  ভিন্ন অর্থে যদি বলা হয়, যে প্রযুক্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত আমরা সেটিই অর্জন করতে চাই।

‘মাত্র পাঁচ বছর আগেও তুরস্কের কাছে বলার মতো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে কুরকুট, সানগার, হিসার এ+, হিসার ও+ ব্যবস্থা সার্ভিসে রয়েছে। আমরা নিজেদের প্রযুক্তির সাহায্যে মিলগেম জাহাজ, উভচর জাহাজ, সিসমিক গবেষণা জাহাজসহ বিভিন্নর ধরনের জাহাজ উৎপাদন করছি। সম্প্রতি উদ্ভাবনের তালিকায় যোগ হয়েছে এটিএকে-২ হেলিকপ্টার। আমরা মিসাইল প্রযুক্তিতে নতুন যুগের সূচনা করেছি’, যোগ করেন ইসমাইল দেমির।