মানবপাচার প্রতিরোধে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করলো যুক্তরাষ্ট্র

ফানাম নিউজ
  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৩
আপডেট  : ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ১৪:২৯

জাতীয় মানবপাচার সচেতনতা দিবস উদযাপন করেছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস। আয়োজনে বাংলাদেশের সঙ্গে মানবপাচার প্রতিরোধ, পাচারকারীদের বিচার এবং পাচারের শিকার ব্যক্তিদের জন্য কাজ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের অব্যাহত অংশীদারত্বের কথা জানিয়েছে দূতাবাস।

২০২৩ সালে, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ জাস্টিসের ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগ্রাম (আইসিআইটিএপি) এবং ওভারসিজ প্রসিকিউটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট, অ্যাসিসট্যান্স অ্যান্ড ট্রেনিং (ওপিডিএটি) সারা বাংলাদেশে ২০০ জনেরও বেশি তদন্তকারী, অর্থনীতি বিশ্লেষক, আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য মানব পাচাররোধে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেছে। এসব সক্ষমতা-নির্মাণ কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকারের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত। এতে বাংলাদেশের সহযোগীদের বিশেষজ্ঞ সহায়তা, ভুক্তভোগীকেন্দ্রিক দক্ষতা বিকাশ এবং ঘটনাভিত্তিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

একসঙ্গে, আইসিআইটিএপি এবং ওপিডিএটি বাংলাদেশে ৪৮টি প্রশিক্ষণ সেশন পরিচালনা করেছে। আইসিআইটিএপি ইউএসএআইডির অর্থায়নে চলা কার্যক্রমের সঙ্গে অংশীদারত্ব করেছে। জনসংযোগের মাধ্যমে কার্যক্রমগুলোতে মানবপাচারের বিপদ সম্পর্কে সচেতনতা এবং কীভাবে পাচার শনাক্ত ও প্রতিবেদন করা যায় সে সম্পর্কে মানুষকে শেখানো হয়। এ প্রচেষ্টা আইন প্রয়োগকারী, জনগোষ্ঠী এবং এনজিওগুলোকে যুক্ত করার একটি সামগ্রিক কৌশলের প্রতিফলন।

রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘যারা লাভের জন্য মানুষকে শোষণ করে তাদের থামাতে আমাদের দু’দেশ কীভাবে কাজ করতে পারে, তার একটি বড় উদাহরণ হলো মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের একসঙ্গে কাজ করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা মানবপাচারের মতো অপরাধের অবসানে যুক্ত, তাদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের রক্ষা করতে, পাচারকারীদের বিচারের আওতায় আনতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’