‘আইটি খাতে বিলিয়ন ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্য সরকারের’

ফানাম নিউজ
  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:৪৩

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আওতায় যেসব সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে সরাসরি এক বিলিয়ন ডলারের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে চায় সরকার।

এসব বিনিয়োগের বড় অংশ চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠানগুলো পাবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামে ‘পঞ্চম চট্টগ্রাম আইটি ফেয়ার-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের আইসিটি খাত থেকে ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় হচ্ছে এবং ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এ খাতে আগামী পাঁচ বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় এবং আরও নতুন ১০ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

চট্টগ্রাম ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের সিলিকন সিটি উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে চট্টগ্রামে তিনটি উপহার দিয়েছেন । প্রথমত, ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চুয়েটে ‘শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর’ সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে ১০টি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ২৫টি স্টার্ট আপ কোম্পানিকে ফ্রি স্পেস দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, চাঁন্দগাওয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার (৮ আইটি প্রকল্প) ও তৃতীয়ত, চান্দগাঁওয়ে নলেজ পার্ক (১২ আইটি প্রকল্প)।

এসময় তিনি ঘোষণা করেন চাঁন্দগাওয়ে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের ৫০০০ স্কয়ার ফিট জায়গা স্টার্ট-আপদের জন্য দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিকে দেওয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, যেসব স্টার্ট-আপ জায়গা বরাদ্দ পাবে, তারা প্রথম ৬ মাস ফ্রিতে কাজ করার সুযোগ পাবে। পরবর্তী সময়ে পারফরমেন্স মনিটরিং কমিটির মাধ্যমে যাচাইপূর্বক আরও ৬ মাস ফ্রিতে কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে স্টার্ট আপ বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডেরে পক্ষ থেকে ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি পর্যন্ত ইকুয়েটি ইনভেস্টমেন্টের সুযোগ থাকবে। এর সবকিছুই নির্ভর করছে রাইট সিলেকশন, রাইট মনিটরিং, রাইট সুপারভিশন ও ইনকিউবেশনের ওপর।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কোনো মেধাবী, উদ্ভাবনী তরুণ-তরুণী যদি উদ্যোক্তা হতে চায়, তাদের যত ধরনের সু্যোগ লাগবে সেটা সরকার, একাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রি একসাথে মিলে তৈরি করবে।

তিনি বলেন, ইপিজেড, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, হাই টেক পার্কে যদি কোন ফ্রিল্যান্সার উদ্যোক্তা হতে পারে তাহলে তারা অন্যদেরও কর্মসংস্থান সুযোগ করে দিতে পারবে।

দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি ওমর হাজ্জাজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোসাইটি অব চিটাগাং আইটি প্রফেশনালসের (এসসিআইটিপি) সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ ফরিদ।