ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মির্জা ফখরুলের কুশপুতুল দাহ

ফানাম নিউজ
  ১২ জুলাই ২০২৩, ০৬:৩৮

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের হিট অফিসারকে নিয়ে মন্তব্যের জেরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কুশপুত্তল দাহ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নারী শিক্ষার্থীবৃন্দ’র ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ ও ফখরুলের কুশপুতুল দাহ করা হয়। আয়োজকরা নিজেদের ছাত্রলীগের নেতাকর্মী হিসেবে দাবি করেছেন।

কুশপুতুল দাহের সময় ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’, ‘বিএনপি বয়কট’সহ মির্জা ফখরুলকে নিয়ে স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা।

এসময় বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আপনাকে বলতে চাই, আপনি নিজে একজন বয়স্ক লোক হয়ে নিজের মেয়ের বয়সের একজন মেয়েকে কীভাবে বলতে পারেন আপনি তাকে দেখে হিটেড হয়ে যান। এরকম একজন লোক দলের মহাসচিব কীভাবে হয় সেটাই আমাদের প্রশ্ন। কীভাবে কথা বলতে হয় আপনাকে শিখতে হবে। না পারলে নারী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আপনি এসে শিখে যান কীভাবে কথা বলতে হয়, কোন ভাষায় প্রতিবাদ জানাতে হয়। আপনাকে অবশ্যই সংবাদ সম্মেলনে নারী সমাজের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে আগামী ভোটে আমরা দেখিয়ে দেবো আমাদের ক্ষমতা কতটুকু। আপনি যতদিন পর্যন্ত ক্ষমা না চাইবেন ততদিন আমরা আমাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাবো।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল ছাত্রলীগের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি বলেন, ‘ঢাকার হিট অফিসার নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তা নিছক তার একক বক্তব্য নয়। এটি তার দলের দৈন্যতা, দলের নেতাকর্মীদের নিচু মানসিকতা ও নারীদের প্রতি তাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিচ্ছবি। তিনি যে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তার জন্য তিনি যেন নারী সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এ যুগে যখন শেখ হাসিনার হাত ধরে নারী সমাজ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশের নারী ফুটবলাররা যখন চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন করছে, যখন গোটা বিশ্ব তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ, ঠিক তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কীভাবে এ ধরনের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে পারেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।’

সভা শেষে তিনি বলেন, ‘কর্মসূচিটি নারী শিক্ষার্থীদের ব্যানারে হলেও সেটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। যেকোনো সংকটে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার ধারাবাহিকতায় আজকেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সেটির আয়োজনে সহযোগিতা করে।’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক নারী শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে জানা যায়।