৩৭ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল এখানো ঘোষণা করা হয়নি।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা পর্যন্ত ২১টি হলের মধ্যে ১২টি হলে ভোট গণনা শেষ হয়েছে। দুপুরের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে জাকসু নির্বাচন নিয়ে নানা অভিযোগ থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে চূড়ান্ত ফল মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের নারী এজিএস প্রার্থী আঞ্জুমান ইকরা।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, জাকসু নির্বাচনে জয়-পরাজয়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সুষ্ঠু ভোট নিশ্চিত করা। কিন্তু প্রশাসনের প্রকাশ্য কারচুপি ও অনিয়ম সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ রক্ষার তাগিদে এই ফল মেনে নিতে হবে।
ইকরা আরো উল্লেখ করেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল তাকে এজিএস প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে— এজন্য তিনি কৃতজ্ঞ।
সংগঠনের দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নিজেদের ভুলগুলো পর্যালোচনা করে সামনে এগোনোর পথ খুঁজে বের করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি নতুন ক্যাম্পাস গড়ে তোলার লক্ষ্যেই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ইকরা।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ভোট শেষ হওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেল।
সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী অভিযোগ করেন, শুরু থেকেই তারা ধারণা করছিলেন নির্বাচনটি সাজানো হবে।
প্রশাসনকে বারবার সতর্ক করা হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে বৈশাখী বিভিন্ন হলে জাল ভোট, নকল ব্যালট ব্যবহার, পোলিং এজেন্টদের কাজে বাধা এবং শিবির-সমর্থিত প্রার্থীদের সুবিধা দেওয়ার অভিযোগও তুলে ধরেন।