প্রথম ম্যাচের চিত্রনাট্য মেনেই যেন এগোলো বাংলাদেশের ইনিংস। মন্থর ব্যাটিংয়ে ২০০ রান নিয়ে যখন শঙ্কা জেগেছিল, সে শঙ্কাটা দূর করলেন প্রথম ম্যাচের নায়ক রিশাদ হোসেন। রান তুললেন আগের ইনিংসের চেয়ে বেশি, বাংলাদেশের রানও হলো আগের দিনের চেয়ে বেশি।
অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের কাঙ্ক্ষিত ৫০ ওভার ব্যাট করাও হলো অবশেষে। ২০২৫ সালে দ্বিতীয় বারের মতো পুরো ওভার খেলতে পারল দল। ৭ উইকেট খুইয়ে ২১৩ রান তুলে ইনিংস শেষ করল বাংলাদেশ।
‘এই উইকেটে সফল হতে হলে আপনাকে টেস্ট ম্যাচ খেলতে হবে। ৫০-৬০ স্ট্রাইক রেটে ৭৫-৮০ রান হলেও সমস্যা নেই।’– কথাগুলো স্যামুয়েল বাদ্রির। ইনিংসের শুরুতে বলছিলেন। সেটাকেই যেন বেদবাক্য মেনে ব্যাট করতে শুরু করেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৫ এলো সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। সেটা তিনি করলেন ৫০ এর আশেপাশে স্ট্রাইক রেটে।
তার আগে পরে যারাই এলেন, রান তুলতে লাগছিলেন ওই গতিতেই। সাইফ ১৬ বলে ৬, তাওহীদ হৃদয় ১৯ বলে ১২, নাজমুল হোসেন শান্ত ২১ বলে ১৫, মাহিদুল অঙ্কনের ৩৫ বলে ১৭ রানের ইনিংস দলকে রানের গতি বাড়াতে দেয়নি। ফলাফল, ৩০ ওভার শেষে ১০৩, আর ৪০ ওভার শেষে রানটা দাঁড়াল ১৩০। পরিস্থিতি জানান দিচ্ছিল, প্রথম ম্যাচে যে ২০০ হয়েছিল, আজ বুঝি সেটাও হচ্ছে না!
সঙ্গে যোগ করুন অলআউটের শঙ্কাকেও। ৩৯তম ওভারে ১২৯ রানে যখন ‘ফ্লোটার’ নাসুম আহমেদ বিদায় নিলেন, তখন ৬ ব্যাটার নেই হয়ে গেছে দলের। দ্রুত রান তুলতে গিয়ে না সব হারিয়ে বসে, শঙ্কাটা তাই ছিলই।
তবে সে শেকলটা প্রথম ভাঙলেন সোহান, ২৪ বলে ২৩ রানের ইনিংসে দলের রানটা কক্ষপথে আনেন। এরপর রিশাদ কেড়ে নেন সব আলো। ৩ ছক্কা আর ৩ চারে ১৪ বলে খেললেন ৩৯ রানের ক্যামিও। আর তাতেই শেষ ২ ওভারে বাংলাদেশ তুলল ৩৪। বাংলাদেশের রানটা ২০০ পার করেও অনেক দূর এগোলো তার ব্যাটে চড়েই।
প্রথম আর দ্বিতীয় ওয়ানডের পরিস্থিতিতে অনেক মিল। রিশাদ সেই মেলবন্ধনটা ঘটালেন। এবার দ্বিতীয় ইনিংসেও সেটা করে দেখাতে পারলেই কেল্লাফতে! এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজটা বাংলাদেশের হয়ে যায় তাহলে!