সাগর উত্তাল, সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর সতর্কতা

ফানাম নিউজ
  ০৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১২:২৮

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত তিন দিন ধরে পটুয়াখালীর উপকূলজুড়ে হালকা বৃষ্টি ও মৃদু বাতাস বইছে।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার এবং গত শনিবার ভোর থেকে আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে এখন পর্যন্ত সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। সেই সঙ্গে বেড়েছে শীতের তীব্রতাও। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। সূত্র: আরটিভি

এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কুয়াকাটা-সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। ঢেউ আঁচড়ে পড়ছে সমুদ্র সৈকতের তীরে। গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত জেলেরা তাদের ট্রলার নিয়ে উপকূলের দিকে ফিরে এসেছেন। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কয়েক হাজার জেলে ইতোমধ্যে তাদের ট্রলারসহ মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে উপকূলীয় রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ মৎস্য কেন্দ্রে ও কুয়াকাটার আলিপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দরে আশ্রয় নিয়েছে।

আবহাওয়া বিজ্ঞপ্তিতে পায়রা সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে এবং গভীর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকাসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি বলা হয়েছে।

জেলার রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ মৎস্যকেন্দ্রের মৎস্য ব্যবসায়ী আজাদ সার্থী  বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত তিনদিন ধরে আমাদের এখানে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে এবং ক্রমেই বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে। গভীর সমুদ্র উত্তাল থাকায় মাছ ধরার জেলেরা তীরে ফিরে এসে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের এই চরমোন্তাজ এলাকার কোনো জেলে এখন আর গভীর বঙ্গোপসাগরে নেই।

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন  জানান, সব উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকতে ও ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।