বৃষ্টির ভোগান্তি পিছু ছাড়েনি রাতেও

ফানাম নিউজ
  ০৭ ডিসেম্বর ২০২১, ০১:১৩

ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’র প্রভাবে বৃষ্টিপাতের কারণে জনদুর্ভোগ রাতেও কাটেনি। সোমবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত কখনো থেমে থেমে, কখনো মুষলধারে, কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হয়। বৃষ্টিপাতের কারণে দিনভর গণপরিবহনের স্বল্পতা দেখা দেয়। এ সুযোগে রাস্তায় রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়াও বেড়ে যায়।

সরকারি ও বেসরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেটের কর্মচারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে কাকভেজা হয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। দিনভর দুভোর্গের এ চিত্র রাতেও অব্যাহত ছিল।

সোমবার সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সরেজমিন রাজধানীর ধানমন্ডি, রমনা ও তেজগাঁও এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অফিস ছুটির পর বিভিন্ন সড়কে শত শত মানুষ ঘরে ফেরার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে। গণপরিবহন স্বল্পতার সুযোগে রিকশা ও সিএনজিচালকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। ফলে নিম্ন আয়ের চাকরিজীবীদের অনেককেই হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।

রাতেও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় শপিংমল থেকে শুরু করেদোকার কর্মচারীরা বিপাকে পড়েন। দোকান বন্ধ করে একসঙ্গে শত শত মানুষ রাস্তায় নামায় যানবাহন স্বলতা প্রকট হয়। বিভিন্ন মোড়ে বাস ও রিকশার অপেক্ষায় অসংখ্য মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। বাস বা রিকশা এলেই একসঙ্গে অনেককে ছুটতে দেখা যায়। অনেককেই ছাতা মাথায় পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে দেখা যায়।

এদিকে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আরও দুর্বল হয়ে লঘুচাপ আকারে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও দুর্বল ও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে।

এতে বলা হয়, লঘুচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

সূত্র: জাগো নিউজ