মৃদু শৈত্যপ্রবাহ উত্তর জনপদে

ফানাম নিউজ
  ০১ জানুয়ারি ২০২২, ১১:২৪

উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে শনিবার (১ জানুয়ারি) ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারদিক। তাপমাত্রা আবার এক ঘরে নেমে এসে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। সূত্র: আরটিভি

ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত। পৌষের শীত সঙ্গে ঘন কুয়াশার আর ঠান্ডা বাতাসে মানুষের সঙ্গে কাবু হয়েছে পশুপাখিরাও। গত ডিসেম্বর মাসের তিন সপ্তাহ ধরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে এই জেলায়। আবারও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে তেঁতুলিয়া অফিসে।

শনিবার সকাল ছয়টায় ১০ ডিগ্রি এবং সকাল নয়টায় তাপমাত্রা কমে গিয়ে ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি।

স্থানীয়রা  জানিয়েছেন, পৌষের শীত আর হিমেল বাতাসে জবুথবু অবস্থায় দুর্ভোগে দিন কাটছে ছিন্নমুল ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকে থাকে চারদিক। তখন কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। সন্ধ্যা থেকে সকাল দশটা পর্যন্ত শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষদের। কুয়াশার সঙ্গে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

দিনের বেলা সূর্য উঠলেই ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায়। তবে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়ে যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝলমলে কুয়াশা মিশ্রিত রোদ উঠলেও উত্তাপ ছড়ায় না। এতে শীতের পোশাক ছাড়া ঘর থেকে বের হওয়া যায়না। ভর দুপুরেও শীতের পোষাক মুড়িয়ে চলাফেরা করতে হয় পঞ্চগড়ে। শহর থেকে গ্রামাঞ্চলের দিকে শীতের তীব্রতা বেশি।

শনিবার সকালে পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শীতের তীব্রতা ঘর থেকে বের হচ্ছেনা মানুষ। সকাল নয়টার দিকে সূর্য উঠলেও কৃষকরা দেরিতে বাসা থেকে বের হচ্ছে। শীত নিবারণের জন্য বাড়িতে বাড়িতে খড়খুটো জালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে।

তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষনাগাড়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ  জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে যেতে পারে। বর্তমানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ চলছে। মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে জানুয়ারি মাসে।

এদিকে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, শীত মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলায় ২৩ হাজার ৬শত কম্বল জেলার দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।