যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষককে মাদকসহ গ্রেফতার করেছে রাশিয়া

ফানাম নিউজ
  ২৮ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:৪৫

রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছে এই শিক্ষকের কাছে বিমানবন্দরে মাদক (গাঁজা) পাওয়া গেছে। তিনি বড় ধরনের মাদক চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত বলেও দাবি করেছে রাশিয়া। 

রাশিয়া এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষককে গ্রেফতার করল যখন— ইউক্রেন নিয়ে পশ্চিমাদের সঙ্গে তাদের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রুশ কর্তৃপক্ষের হাতে গ্রেফতার শিক্ষকের নাম মার্ক ফোগেল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মস্কো দূতাবাসের সাবেক কর্মী। 

গত বছরের আগস্টে মার্ক ফোগেল বিমানবন্দরের কাস্টমস অতিক্রমকালে প্রশিক্ষত কুকুর তার লাগেজ দেখে সাড়া দেয়। এরপর কর্তৃপক্ষ তাকে চেক করে মাদক পায়।  

রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার বলেছে, দূতাবাসের ভেতর পালানো এড়াতে  তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এত মাস পর  কর্তৃপক্ষ কেন এখন  যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষককে  গ্রেফতারের কথা জানাল সেটা অস্পষ্ট। 

ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো বলছে, ইউক্রেনে আগ্রাসান চালাতে রাশিয়া এই সেনা সমাবেশ করছে। যদিও রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণের পরিকল্পনা নাকচ করে দিয়েছে। 

ইউক্রেনে হামলা করলে কঠোর পরিণতি ভোগের হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ন্যাটো জোট রাশিয়ার মোকাবেলায় পূর্ব ইউরোপে সাড়ে ৮ হাজার সেনা সতর্ক রেখেছে। 

রাশিয়া বলছে, পশ্চিমারা উত্তেজনা ছড়াচ্ছে। তারা রাশিয়ার জন্য নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। 

যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষককে গ্রেফতারের বিষয়ে রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বলছে, তিনি যাতে দূতাবাসে আত্মগোপন না করতে পারেন এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

বিবৃতি বলা হয়েছে, তার লাগেজে মারিজুয়ানা এবং গাঁজা পাওয়া গেছে। এসব মাদক তিনি খুব সুচতুরভাবে লুকিয়ে রেখেছিলেন। 
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মারিজুয়ানা তার কন্ট্যাক্ট লেন্সে লুকানো ছিল, অন্যদিকে গাঁজা লুকানো ছিল ই-সিগারেটের ভেতর। ফোগেল এবং তার স্ত্রী গত মে মাস পর্যন্ত কূটনীতিক দায়মুক্তি পেয়েছিল বলেও রাশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় জানিয়েছে। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রেফতারের সময় ফোগেল মস্কোর অ্যাঙ্গলো আমেরিকান স্কুলে পড়াতেন। তার বিরুদ্ধে ব্যাপক পরিমাণ মাদক পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, বিদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সহায়তা করতে তারা বদ্ধপরিকর।  ঘটনাটি তারা পর্যবেক্ষণ করছেন।  যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আর কোনো মন্তব্য করেনি।