ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

ফানাম নিউজ
  ০৮ অক্টোবর ২০২১, ০৩:১১
আপডেট  : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৩:৫২

রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ কম্পন অনুভূত হয়।

৫.৬ মাত্রার এ ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারে। দেশটির মনওয়া থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে ভূপৃষ্ঠের ১১৪ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের সৃষ্টি হয়।

ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভের ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ৪৭৭ কিলোমিটার।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১১৪ কিলোমিটার গভীরে এ কম্পনের সৃষ্টি হয়।  ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল মিয়ানমার।

তাৎক্ষণিকভাবে দেশের কোথাও এ ভূমিকম্পের ফলে কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, মিয়ানমারের মনিওয়া এলাকায় মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে, যা অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ দপ্তরের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ২৮ মিনিটে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৬।

ভূমিকম্পের উৎস ছিল মিয়ানমারের মানওয়া থেকে ৪৬.১ কিলোমিটার পূর্ব- দক্ষিণ-পূর্বে, ভূপৃষ্ঠের ১১৪.২ কিলোমিটার গভীরে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম জানান, ওই এলাকার অবস্থান ঢাকা থেকে ৪৭৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ পূর্ব দিকে।

মাঝারি মাত্রার এ ভূমিকম্প বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলে বেশি অনুভূত হয়েছে। তবে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কাঁপুনি টের পাওয়া গেছে বলে আমাদের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ অবজারভেটরির তত্ত্বাবধায়ক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, চলতি বছরের মে মাসে সিলেটে কয়েক দফা ভূমিকম্প হয়। এবার যেটা হয়েছে, সেটা ‘স্লো স্লিপ জোনে ইন্টারপ্লেট আর্থকোয়েক’।

পৃথিবীর উপরিভাগের ৭০-১০০ কিলোমিটার পুরুত্বের লিথোস্ফিয়ার ছোট-বড় ১৩টি খণ্ডে (প্লেটে) বিভক্ত। উত্তপ্ত ও নরম এস্থোনোস্ফিয়ারের উপর ভাসমান এ প্লেটগুলো গতিশীল।

প্লেটগুলো গতিশীল থাকায় ভূখণ্ড ধীরে ধীরে সরতে থাকে, যেটাকে ‘অ্যাকটিভ ফল্ট’ বা সক্রিয় চ্যুতি বলা হয়। প্লেটের স্থানচ্যুতির সময় জমে থাকা শক্তি বিপুল বেরিয়ে আসে, তখন সংযোগস্থলে ভূকম্পন হয়।

বাংলাদেশের উত্তরে ইন্ডিয়ান প্লেট ও ইউরেশিয়ান প্লেটের সংযোগস্থল; পূর্বে বার্মিজ প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থল। এছাড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল বরাবর বঙ্গোপসাগরের একটি বিশাল ‘সাবডাকশন জোন’ রয়েছে।

সমুদ্র তলদেশে যেখানে দুটি টেকটনিক প্লেট মুখোমুখি অবস্থানে থাকে এবং প্লেট দুটো পরস্পরের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে, সেটাকে বলে ‘সাবডাকশন জোন’। এমন অবস্থায় একটি টেকটনিক প্লেট আরেকটির নিচে চলে গেলে সৃষ্টি হয় ভূমিকম্প।